নির্বাসনের ঝুঁকিতে থাকা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ‘ভুয়া কাগজপত্র’নিয়ে কানাডায় এসেছিলেন।
তবে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, তাদের অনেকে ২০১৮ সালে কানাডায় আসেন। শিক্ষাগ্রহণ শেষে যখন স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন, তখনই বলা হচ্ছে তাদের কাগজপত্র ভুয়া।
কানাডার বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি (সিবিএসএ) কয়েকদিন আগে প্রায় ৭০০ ভারতীয় শিক্ষার্থীকে দেশ ত্যাগের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
চামানদ্বীপ সিং নামের এক শিক্ষার্থী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘যখন আমরা কানাডায় আসি তখন আমাদের এজেন্ট জানান, যেসব কলেজ থেকে আমরা ভর্তির কাগজ পেয়েছি সেগুলোর আসন পূর্ণ হয়ে গেছে। এছাড়ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিচ্ছে, ফলে সে আমাদের অন্য কোনো কলেজে পরিবর্তন করে দিতে পারবে। যেহেতু আমরা চাইনি এক বছর ক্ষতি হোক, তাই আমরা তার প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা কলেজ পরিবর্তন করেছি এবং পড়ালেখাও শেষ করেছি। কিন্তু তিন-চার বছর পর বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি আমাদের জানিয়েছে ভর্তির যেসব কাগজপত্র দিয়ে আমরা কানাডায় এসেছিলাম সেগুলো ভুয়া।’
লাভপ্রিত সিং নামের অপর এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, কানাডা থেকে বের করে দেওয়ার হবে—এই ভয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এতটাই প্রভাব পড়েছে যে, অনেকে আত্মহত্যার চিন্তাও করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘কানাডার সরকারের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করার জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা নিরপরাধ, আমরা প্রতারণা শিকার হয়েছি। আমাদের জিবন বিপন্ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অনেকে এ কারণে আত্মহত্যার কথা ভাবছে।
এমন পরিস্থিতিতে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭০০, তবে আসল সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকে সামনে আসছে না। আমি ৩০ জুনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নোটিশ পেয়েছি। আমরা জীবনের সমস্ত কিছু ব্যয় করে কানাডা এসেছি, কিন্তু এখন আমাদের ফিরে যেতে বলা হচ্ছে।’
পাঞ্জাবের স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী কুলদ্বীপ সিং ধালিওয়াল এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, এসব শিক্ষার্থী প্রতারণার শিকার হয়েছেন। যা সাম্প্রতিক সময়ে অভিবাসনের সবচেয়ে বড় প্রতারণার ঘটনা। তাদের অনেকে জমিজমা বিক্রি করে কানাডায় গিয়েছিলেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
অর্থসংবাদ/এসএইউ