জাপানিরা অলসতা কাটাতে ভিন্ন এক পদ্ধতি অনুসরণ করেন। যাকে বলা হয় কাইজেন। এটি এমন একটি দর্শন যা মানুষের অলসতা কাটিয়ে ক্রমাগত উন্নতির পথে ঠেলে দিতে সাহায্য করে।
এই পদ্ধতি অবলম্বন করে, ব্যক্তিরা অলসতার চক্র থেকে মুক্ত হতে পারে। এমনকি একটি উত্পাদনশীল ও শৃঙ্খলাবদ্ধ মানসিকতা গড়ে তুলতে পারে।
জেনে নেওয়া যাক কীভাবে জাপানিজ টেকনিকে অলসতা কাটাবেন-
অলসতা কাটিয়ে ওঠার প্রথম ধাপ হলো এই খারাপ অভ্যাসকে স্বীকার করা ও চিহ্নিত করা। এজন্য কোন কোন সময় বা ক্ষেত্রে আপনার অলসতা বোধ হয় সেটি শনাক্ত করুন।
-লক্ষ্য সেট করুন
কাইজেন পদ্ধতি অনুসারে অলস ব্যক্তিদের উচিত লক্ষ্য নির্ধারণ করা। ছোট ও বড় কাজগুলোকে ধাপে ধাপে ভাগ করুন। আগে ছোট ছোট কাজগুলো করার অভ্যাস গড়ু, দেখবেন বড় কাজগুলোর ক্ষেত্রে আর অলসতা বোধ করবেন না।
-এক মিনিট নীতি অনুসরণ করুন
এই নীতি একটি শক্তিশালী কৌশল। আপনি যে কাজটি এড়িয়ে যাচ্ছেন, তাতে মাত্র এক মিনিট ব্যয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।
সবচেয়ে কঠিন অংশ হলো আপনি কীভাবে কাজটি শুরু করবেন সেটি। একবার আপনি শুরু করলে, কাজটি চালিয়ে যাওয়া ও সম্পূর্ণ করা আরও সহজ হয়ে উঠবে।
-একটি রুটিন তৈরি করুন
একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ রুটিন তৈরি করুন, যা আপনার অলসতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। কাজ, ব্যায়াম, শিথিলকরণ ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য নির্দিষ্ট সময় আলাদা করুন। একটি সুগঠিত সময়সূচী থাকা ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অলসতা কাটাতে সাহায্য করবে।
-পোমোডোরো কৌশল
পোমোডোরো কৌশল হলো একটি সময়-ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, যা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারে। এজন্য কাজগুলোকে ২৫ মিনিটের ব্যবধানে বিভক্ত করুন, যাকে ‘পোমোডোরোস’ বলা হয়, তারপরে একটি ছোট বিরতি নিন। এই কৌশল কাজের প্রতি ফোকাস বজায় রাখতে সাহায্য করে।
-অগ্রগতি উদযাপন
নিজের অগ্রগতির জন্য নিজেকে পুরস্কৃত করুন। ছোট অর্জন উদযাপনের মাধ্যমে আপনার মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা ও কাজের প্রতি আরও আগ্রহ বাড়বে। যা আপনাকে অলসতা কাটিয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করে।
-মানসিকতার বিকাশ ঘটান
ইতিবাচক মানসিকতা গড়ার চেষ্টা করুন, এক্ষেত্রে শেখার ও কাজের উন্নতিতে ফোকাস দিন। যে কোনো কাজে নিরুৎসাহিত হওয়ার পরিবর্তে, তা সমাধান করার চেষ্টা করুন।
অর্থসংবাদ/এসইউ