রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই যৌথ সামরিক মহড়ায় ইরান, চীন, পাকিস্তান, বেলারুশ, আর্মেনিয়া ও মিয়ানমারকে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়া আজারবাইজান, কাজাখস্তান ও তাজিকিস্তানসহ আরও ছয়টি দেশের প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। রাশিয়ার নেতৃত্বে এই যৌথ মহড়ায় ৮০ হাজার সেনা অংশ নেবেন।
রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত সংক্রান্ত বিষয়গুলো এ মহড়ায় গুরুত্ব পাবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যৌথ মহড়ায় প্রতিরক্ষা কৌশল রপ্ত করার ওপর বিশেষ জোর দেয়া হবে। এছাড়া শত্রুপক্ষকে ঘেরাও করে যুদ্ধক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড পরিচালনার বিষয়গুলোও গুরুত্ব পাবে।
এদিকে, নিজের দেশে চলমান বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যেই রাশিয়ায় পা রেখেছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। এই সফরে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একটি ফ্লাইট ট্র্যাকিং ডেটা থেকে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর রাশিয়া সফর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
লুকাশেঙ্কোর এই সফরের ফলে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর প্রথমবার দু'দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে মুখোমুখি সাক্ষাত হচ্ছে। লুকাশেঙ্কোর এই সফরে তিনি এবং পুতিন দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক, বিদ্যুৎ, বাণিজ্য এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।