সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে থাকায় প্রতিষ্ঠানটি কয়েক মাস আগে ব্যাংকারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে। ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছে এমন তিনজনকে উদ্ধৃত করে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ চিন্তা শেষপর্যন্ত কার্যকর হতে নাও পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি গত বছর সারা বিশ্বে মোট যে পরিমাণ ওষুধ বিক্রি করেছে তার ১৩ শতাংশই বিক্রি হয়েছে চীনে। অ্যস্ট্রাজেনেকা এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
বড় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বয়স্ক জনসংখ্যার হার, ধূমপান, দূষণ ও খাদ্যাভাসের কারণে চীন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর জন্য একটি আকর্ষণীয় বাজার।
পরামর্শদাতাদের উদ্ধৃত করে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়, অন্যান্য ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অ্যস্ট্রাজেনেকার কাছে চীন বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি কিছু বিরল রোগ ও ক্যান্সারের ওষুধ তৈরি করার ফলে চীনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ব্যবসা আরো বেশি প্রসারিত হয়েছে।
অবশ্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোম্পানির চেয়ার মিশেল ডেমারে গত মাসে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো একটি বড় প্রতিষ্ঠান হলে সবসময়ই ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। এক্ষেত্রে এসব বিষয়ে খুব বেশি না জড়িয়ে ব্যবসা পরিচালনা করাই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য।