মঙ্গলবার উত্তর ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাসের সঙ্গে বৈঠক করেন স্টলটেনবার্গ। বৈঠক শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে স্টলটেনবার্গ জানান, রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরই কেবল ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ প্রদানের ব্যাপারটি বিবেচনা করা হবে; তার আগে নয়।
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘এখানে(ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হলো স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ইউক্রেনের টিকে থাকা। কারণ, যদি পুতিন এই যুদ্ধে জিতে যান— ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের প্রশ্নটিই অবান্তর হয়ে যাবে। তাই এ যুদ্ধে জয়ী হওয়াই হলো ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রথম ও প্রধান পূর্বশর্ত।
অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেনকে আপাতত সদস্যপদ না দেওয়া হলেও কিয়েভের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ন্যাটো এবং চলমান এই যুদ্ধে দেশটিকে সামরিক সহায়তা প্রদানও অব্যাহত রাখা হয়েছে।
মূলত ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের চেষ্টাকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরেই এই যুদ্ধের শুরু। ২০১৪ সালে রুশ বাহিনীর কাছে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ হারানোর পর থেকে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য তদবির শুরু করেছিল কিয়েভ।
এই ইস্যুতে বিগত বছরগুলোতে কিয়েভকে একাধিকবার সতর্কবার্তা দিয়েছে মস্কো, কিন্তু সেসবকে পাত্তা দেয়নি ইউক্রেন।
টানা প্রায় ৪ বছর এ ইস্যুতে মস্কো-কিয়েভের টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে রুশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।