এর আগে, গত মঙ্গলবার ভারতের লোকসভায় বক্তব্য রাখেন রাজনাথ। সেখানে চীনকে পরিষ্কার বার্তা দেন তিনি। বলেন, সব ধরণের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে ভারতীয় সেনা। যে কোনও দখলদারি মনোভাবের প্রতিবেশীকে কড়া শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে।
এদিকে ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের অরুণাচল প্রদেশের প্রায় ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা চীন নিজেদের বলে দাবি করেছে বলেও জানান রাজনাথ সিং।
তিনি বলেন, বিশ্বের কোনও শক্তি লাদাখে ভারতীয় সেনার টহলদারি আটকাতে পারবে না। ভারতীয় সেনার টহলদারি আটকানোর জন্য চিনা বাহিনীর চেষ্টাই লাদাখে সংঘাতের কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি। পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর টহলদারির ধরণও বিন্দুমাত্র পরিবর্তিত হবে না বলে এদিন বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মুখে শান্তির কথা বললেও সীমান্তে খালি লোকবল ও অস্ত্রশস্ত্র বাড়াচ্ছে চীন। সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্য একই পথে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু এর ফলে ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সীমান্ত। প্যাংগংয়ের দক্ষিণ প্রান্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দখলও এখন ভারতের হাতে। ফলে খেলা অনেকটাই ঘুরেছে।
এদিকে, লোকসভায় রাজনাথের বক্তব্যের পরেই তর্জন গর্জন শুরু হয় চীনের। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় যুদ্ধ অথবা শান্তি, চীন দুই রাস্তাতেই হাঁটতে রাজি। চীনের জাতীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে জানানো হয় চীনা সেনার চাপেই নাকি ভারতীয় সেনা সীমান্তে শান্তির কথা বলছে। ভারত চীনের চাপেই শান্তির বার্তা দিচ্ছে।