এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর এখন কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমতে শুরু করেছে। শেষ ৯ কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই কমেছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে সপ্তাহজুড়ে দাম কমার শীর্ষ স্থানটিও দখল করেছে কোম্পানিটি।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ১০ পয়সা, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৭৬ টাকা ৬০ পয়সা। তার আগে ৭ সেপ্টেম্বর ছিল ৮১ টাকা।
শেয়ারের এমন দাম হলেও কোম্পানিটি সর্বশেষ কবে লভ্যাংশ দিয়েছে তা ভুলে গেছেন বিনিয়োগকারীরা। এমনকি ডিএসইর ওয়েবসাইটেও কোম্পানিটির লভ্যাংশ দেয়ার কোনো তথ্য নেই।
বছরের পর বছর লভ্যাংশ না দেয়া এ কোম্পানি প্রতিবছরই ব্যবসা করে বড় অঙ্কের লোকসান করছে। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসের ব্যবসায় শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৭২ টাকা ৩৮ পয়সা।
লোকসানে নিমজ্জিত এই কোম্পানির শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়া শুরু হয় গত জুলাই মাস থেকে। গত ৯ জুলাই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ২৩ টাকা ৮০ পয়সা। সেখান থেকেই টানা বেড়ে ৮১ টাকায় ওঠে।
এদিকে ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে শ্যামপুর সুগার মিলের পর শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপারের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে ১৪ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- দুলামিয়া কটনের ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, মিরাকেল ইন্ডাস্ট্রিজের ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ, ফাইন ফুডসের ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডের ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, আজিজ পাইপের ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, এডিএন টেলিকমের ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ দাম কমেছে।