প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন স্পট মার্কেটে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দর স্থিতিশীল আছে। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয়েছে ১৯৩২ ডলার ৬৯ সেন্টে।
তবে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। আউন্সপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯২৯ ডলার ১০ সেন্টে।
এক্সিনিটির প্রধান বাজার বিশ্লেষক হ্যান তেন বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেটা মাথায় রেখে সুদের হার বাড়িয়ে দিতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে চাপে পড়েছে বুলিয়ন মার্কেট।
গত সপ্তাহে বেকারত্ব প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিগত আড়াই বছরের মধ্যে গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে সবচেয়ে কম মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে কর্মচারীদের মজুরি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। এতে স্পষ্ট, মার্কিন শ্রমবাজার আঁটসাঁট রয়েছে।
গত মে’র শুরুতে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল স্বর্ণের দাম। প্রতি আউন্সের দাম দাঁড়িয়েছিল ২০৭০ ডলার। ইতিহাসে অদ্যাবধি গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির রেকর্ড দর ২০৭৫ ডলার। সেই থেকে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে ৭ শতাংশেরও বেশি।
চলতি মাসে সুদের হার বাড়াতে পারে ফেড। এতে চাপে পড়েছে স্বর্ণ। কারণ, ডলারের মান ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তাতে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে আকর্ষণ হারিয়েছে দুঃসময়ের মধ্যে ধাতুটি।
সিএমসি মার্কেটের জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক মাইকেল হিউসন বলেন, আগামী কিছদিন স্বর্ণের দাম ১৯০০ থেকে ১৯৪০ ডলারের মধ্যে থাকতে পারে। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে তা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।