জাপান তার ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শোধিত পানি নিষ্কাশনের প্রস্তুতি নিলে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। ২০১১ সালের ১১ মার্চ তোহোকু ভূমিকম্প এবং সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে পানি সাগরে নিষ্কাশনের কোনো তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়নি এখনো।
জাপান তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে চীনের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। আর বেইজিংকে জাপানের সামুদ্রিক খাবারের ওপর আরোপিত কড়াকড়ি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, আগস্টের কোনো এক সময় পানি নিষ্কাশন শুরু করা হবে বলে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল এই মাসের শুরুর দিকে আইএইএ টোকিওতে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষার মান পূরণ করা হয়েছে। এর পর আগস্ট মাসকে নিষ্কাশনের সময় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
কিছু বিশেষজ্ঞ, জাপান থেকে সামুদ্রিক খাবার আমদানিতে বেইজিং-এর কড়াকড়িকে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরিশোধিত পানি বিষয়ক সুরক্ষা সম্পর্কে সন্দেহ জাগানিয়া একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখেন। তবে টোকিও বলেছে, পানি নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ‘সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি’ মোকাবিলার পর পরিশোধিত পানি নিষ্কাশন শুরু হবে।
ভয়েস অফ আমেরিকা জানিয়েছে, আইএইএ নিষ্কাশনের অনুমোদন দেওয়ার পর, ৭ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শোধিত পানি নিষ্কাশন বিষয়ক জাপানের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানায়। তবে দেশটির বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।
মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল টোকিও সফর করার পর থেকে, সিউল এবং টোকিওর মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে। এর ফলে মার্চ এবং মে মাসে দুটি শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর প্রথম বৈঠকটি হলো দুই দেশের মধ্যে গত ১২ বছরের মধ্যে প্রথম এমন ঘটনা।