প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনরায় নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট উপদেষ্টা ও দাতারা আড়ালে-আবডালে বিকল্প প্রার্থী খুঁজছেন। সিএনএনের সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট অনুসারে, শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট কৌশলবিদ ও দাতারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে বাইডেনের পরিবর্তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন এমন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সাথে চুপিসারে ফোন কল ও ইমেল বিনিময় করছেন এবং প্রয়োজনে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলছেন।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শীর্ষ ডেমোক্র্যাটরা বিশ্বাস করেন- বাইডেন চলতি বছরের শুরুতে পুনরায় নির্বাচনের জন্য প্রচারণার ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। প্রেসিডেন্ট পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য সত্যি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন, ডেমোক্র্যাট কৌশলবিদ ও দাতারা বাইডেনের প্রচারের ধীর গতির কার্যকলাপকে এমনই একটি ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
প্রায় দুই ডজন শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট কৌশলবিদ, দাতা, বাইডেন সহকারী এবং সাম্প্রতিক প্রচারাভিযান নেতা প্রেসিডেন্টর পুনর্নির্বাচনের প্রচারের গতিকে ঘিরে হতাশা এবং উদ্বেগের বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
সিএনএন জানায়, ডেমোক্র্যাটরা শিগগিরই বাইডেনের ক্যাম্পেইন ফান্ডরাইজিং-এর প্রথম কয়েক মাসের প্রকাশিত ফলাফল পাবেন, যা বাইডেনের প্রচারণার ধীর পদ্ধতি তার সমর্থকদের সাথে অনুরণিত হচ্ছে কিনা তা নির্দেশ করতে পারে।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল অল্প ভোটের ব্যবধানে নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাইডেনের প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানের বিলম্বিত সময়সূচী তার বয়স সম্পর্কে অতিরিক্ত উদ্বেগ সৃষ্টি করবে এবং তার এই প্রচারণা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়কে নিশ্চিত করতে পারে- এমন আশঙ্কায় শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাটরা ক্রমশই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন। ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণায় ঠিক এমনটাই ঘটেছিল।
বাইডেনের ২০২০ প্রচারণার একজন সিনিয়র সদস্য বলেন, যদি ট্রাম্প আগামী নভেম্বরে জয়ী হন এবং সবাই বলে, ‘এটি কীভাবে ঘটল,’ এসব প্রশ্নের মধ্যে একটি হবে: ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে বাইডেন ক্যাম্পেইন কী করেছিল? বাইডেনের প্রচারণার মুখপাত্র কেভিন মুনোজ দাবি করেন, ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনের ঐতিহাসিক সফল এজেন্ডার চারপাশে ‘ঐক্যবদ্ধ’। মুনোজ যুক্তি দেখান, বাইডেন ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যেকার ‘বৈসাদৃশ্য’ই তাদের ‘নিজের জন্য কথা বলে।’
জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাগাদ উইলমিংটনে বাইডেন ক্যাম্পেইনের সদর দফতর খোলার পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও তা চালু হয়নি। বর্তমানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রাজ্যগুলোতে বাইডেন প্রচারাভিযানের স্টাফ নেই। অন্যদিকে কর্মী নিয়োগে বিলম্ব অব্যাহত রয়েছে এবং এখনো কোনো অর্থ পরিচালক ছাড়াই প্রচারণা চলছে।
বেশ কয়েকজন সিনিয়র ডেমোক্র্যাটিক উপদেষ্টা জানান, বাইডেনের প্রচারণার বিষয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয় হলো যে তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অবস্থানের কোনো সুবিধা নিচ্ছে না।
ডেমোক্র্যাটিক প্রচারণার একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি বলেন, ‘ক্ষমতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হলো প্রতিদ্বন্দ্বী যখন প্রাইমারি নিয়ে ব্যস্ত থাকে তখন আপনার প্রচারাভিযানের পরিকল্পনা ও নির্মাণের জন্য সময় নিচ্ছে। তারা সবকিছু করতে দেরি করে এবং সবাই তা জানে।’
অর্থসংবাদ/এসএম