বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে চাহিদা বেড়েছে স্বর্ণের। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যা রেকর্ড গড়েছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সবশেষ গবেষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কানাডাভিত্তিক প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম কিটকোর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, আলোচ্য সময়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দর গড়ে ১৯৭৬ ডলার থেকেছে। ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে তা ৬ শতাংশ বেশি। আর ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ডের চেয়ে যা ৪ শতাংশ বেশি।
ডব্লিউজিসির গবেষণা প্রধান হুয়ান কার্লোস আর্তিগাস বলেন, গত মে’তে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর আমেরিকায় স্বর্ণের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন, বিশ্বমন্দার ঝুঁকি চীনের মতো মূল বাজারে অলংকার বিক্রি বাড়াতে সহায়তা করেছে। আলোচিত সময়ে বিশ্বে স্বর্ণের বার ও মুদ্রা বিক্রি বেড়েছে ৬ শতাংশ। বিশেষ করে তুরস্ক ও মধ্যপ্রাচ্যের বুলিয়ন মার্কেটে।
তবে ডব্লিউজিসি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের চাহিদা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯২১ টনে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ২ গুণ কম।
আর্তিগাস বলেন, এসময়ে স্বর্ণের গুরুত্ব উপলব্ধি করা গেছে। এতে স্পষ্ট বোঝা গেছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে যার ভূমিকা ব্যাপক রয়েছে। ইতোমধ্যে এটি মহামূল্যবান সম্পদে পরিণত হয়েছে। কারণ, চকচকে ধাতুটি স্থিতিশীল।
তিনি বলেন, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও স্বর্ণ কেনা অব্যাহত রেখেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন বুলিয়ন মার্কেট স্থিতিশীল আছে। শিগগিরই সুদের হার বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকতে পারে ব্যাংকগুলো। কারণ, মূল্যস্ফীতি কমে আসছে। যদি এমনই হয় তাহলে দামি ধাতুটির দাম আরও বাড়বে।
অর্থসংবাদ/এসএম