জ্বালানি তেলের দাম কমানোর কারণে উৎপাদন কমিয়ে আনার প্রভাব পড়েছে মুনাফায়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৬ শতাংশ কমেছে। তৃতীয় প্রান্তিকের জন্য বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি নতুনভাবে কাজ করার পূর্বাভাস দিয়েছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ মুনাফা কমার কথা জানিয়েছিল। বছরের প্রথমার্ধে নিট মুনাফা প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে।
আরামকোর প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের বলেছেন, ‘আমাদের আয় স্থিতিশীল এবং বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী কর্মক্ষমতার মাধ্যমে বৈশ্বিক আস্থা টিকিয়ে রাখব।’
বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি গত এপ্রিলে জ্বালানি তেল উৎপাদন দৈনিক পাঁচ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দেয়। জুনে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঐচ্ছিকভাবে দৈনিক আরো ১০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমানোর কথা জানায়। ২০২৩ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের নিট আয় একই বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ কমেছে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার লভ্যাংশ দেয়ার পরিকল্পনা করছে আরামকো। এর মধ্যে পারফরম্যান্স-সংক্রান্ত লভ্যাংশও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অপরিশোধিত তেলের কম দাম এবং পরিশোধন ও রাসায়নিকের মার্জিন দুর্বল হওয়ায় চলতি বছরের প্রথমার্ধে নিট আয় ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কমে ৬ হাজার ১৯৬ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। আরামকোর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী আমিন নাসের বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় ফলগুলো আমাদের স্থিতিস্থাপকতা এবং বাজার চক্রের মাধ্যমে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। আমরা উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সক্ষমতা প্রদর্শন করে চলেছি। শেয়ারহোল্ডারদের জন্য তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আমাদের প্রথম পারফরম্যান্স-ভিত্তিক লভ্যাংশ বিতরণ শুরু করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি এখন পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে। বৃহত্তর বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রত্যাশিত। এভিয়েশন খাতে ক্রমবর্ধমান কর্মকাণ্ডের ফলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।’"
সর্বশেষ ফল ঘোষণার আগে কোম্পানির শেয়ারের দাম বছরে ১০ শতাংশ বেড়েছে। সোমবার আয় প্রকাশের পর স্টক ২ শতাংশের বেশি বেড়েছে। ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত অ্যাপল (২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি ডলার) ও মাইক্রোসফটের (২ লাখ ৪৪ হাজার কোটি ডলার) পর ২ লাখ ৮ হাজার ডলারের বাজারমূল্য নিয়ে আরামকো এখন বিশ্বের তৃতীয় দামি কোম্পানি।
অর্থসংবাদ/এমআই