ভোট চুরি বন্ধ করতে ডিজিটাল ভোটার তালিকা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

ভোট চুরি বন্ধ করতে ডিজিটাল ভোটার তালিকা করেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। কেউ যাতে আবার ভোট চুরি করতে না পারে সেজন্য আমরা একটি ডিজিটাল ভোটার তালিকা তৈরি করেছি।’

দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধানমন্ত্রী তার স্বপ্নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গতকাল আরো ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। উদ্বোধন শেষে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ভোট কারচুপির মাধ্যমে সংসদে এনেছিলেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার ঠেকাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে তাদের বিদেশে পোস্টিং দিয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জনগণের কল্যাণে কিছুই করেনি, বরং লাগামহীন দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য গড়েছে।’

দেশবাসীকে আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশবাসীকে একটি উন্নত ও সুন্দর জীবন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নৌকায় ভোট দিয়ে দেশবাসী স্বাধীনতা পেয়েছিল। নৌকায় ভোটের কারণে আজ ভূমি ও গৃহহীন মানুষ ঘর পেয়েছে। তাই আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগের প্রতি সবাইকে বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনায় সরকারের অধীনে দেশ আর্থসামাজিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে এবং দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে সমস্ত মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এখনো ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণকে বন্দি করার চেষ্টা করছে, যেটি তারা ২০১৩-১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন স্থগিত করার লক্ষ্যে শুরু করেছিল।’

দেশবাসীকে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের একটি বিরোধী দল আছে, যারা শুধু সাধারণ মানুষকে হত্যা করে, তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য সন্ত্রাস ও অগ্নিসংযোগ করে।’

বাংলাদেশের জনগণকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত রাখার সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের কেউ যেন গৃহ ও ভূমিহীন না থাকে তা নিশ্চিত করা এবং অনেক ধনী লোক সরকারি উদ্যোগের সঙ্গে এগিয়ে আসতে পারে। যাতে সমাজের কেউ অবহেলিত না থাকে।’

অনুষ্ঠানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠান চলাকালে প্রধানমন্ত্রী ঘর পাওয়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু