তারা বলছেন, যে কোষ চুলের রঙ তৈরি করে, তা পরিপক্ব হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে চুল ধূসর হতে শুরু করে।
যে কোনো সময় চুল কেটে ছোট করা হলে স্বাভাবিক চক্রের মতোই আবার বড় হয়। মাথার ত্বকের ফলিকল থেকে নতুন চুল গজায়। ওই ফলিকলেই থাকে মেলানোসাইট নামে এক ধরনের স্টেম সেল, যা চুলের রঙ উৎপাদন করে। মেলানিন অর্থাৎ চুলের রঞ্জক পদার্থ প্রত্যেক চুলের গ্রন্থিকোষে মেলানোসাইট নামক কোষ উৎপাদন করে। আর এই কোষগুলো দুটি ভিন্ন ধরনের মেলানিন তৈরি করে, যা ইউমেলানিন ও ফিওমেলানিন নামে পরিচিত।
ইউমেলানিন হলো গাঢ় রঞ্জক। অর্থাৎ এটি যত বেশি থাকবে, চুল তত গাঢ় রঙের হবে। কাজেই ইউমেলানিনের পরিমাণ বেশি থাকলে চুলের রঙ কালো বা বাদামি হয়। মেলানিন না থাকলে চুল হয় সোনালি রঙের। আর ফিওমেলানিন থাকলে চুলের রঙ হয় লাল।
কিন্তু চুলের রঙ ধূসর হয় কখন? ধূসর চুলের জন্য দায়ীও মেলানিন। ধূসর চুলে মেলানিনের পরিমাণ সবচেয়ে কম থাকে। আর সাদা বা রুপালি চুল বর্ণহীন; অর্থাৎ এ চুলে মেলানিন থাকে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, চুলের রঙ এ রকম ধূসর, রুপালি বা সাদা হওয়ার প্রধান কারণ হলো বার্ধক্য।
গবেষণার জন্য এনওয়াইইউর ল্যাঙ্গোন হেলথ টিম বিশেষ স্ক্যান ও ল্যাব কৌশল ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। গবেষক দলের প্রধান ডা. কিউই সান নেচার বলেন, মেলানোসাইট স্টেম সেলগুলো কীভাবে চুলের রঙ তৈরির কাজ করে, সে বিষয়ে তারা প্রাথমিকভাবে কিছু ফল পেয়েছেন। আর তাতে চুল ধূসর হওয়া ঠেকানোর উপায় উদ্ভাবনের সম্ভাবনাও জাগছে।
অর্থসংবাদ/এমআই