পুরুষের চেয়ে নারীরা একটু বেশিই ফ্যাশন সচেতন। তবে দিন দিন ফ্যাশনের প্রতি বিশেষ নজর দিচ্ছেন পুরুষেরাও। এক্ষেত্রে কেউ কেউ বুঝতে পারেন না আসলে কীভাবে আরও স্মার্ট হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়।
অনেকে ঢোলা ট্রাউজারের সঙ্গে প্লেইন টি-শার্ট অথবা টাইট ফরমাল প্যান্টের সঙ্গে হাফ হাতা শার্ট পরেন। ফ্যাশন সচেতন মন যেটাকেই বেছে নিক না কেন সাধারণ কিছু ভুলের জন্য ঠিক স্মার্ট লোকদের কাতারে স্থান পাওয়া কঠিন। কেননা চলমান ট্রেন্ড অনুসরণ করলেই যে স্টাইলিস্ট তা প্রমাণ হয় না।
ফ্যাশন হচ্ছে মূলত নিজেকে সাজানোর শৈলী। স্টাইলিস্ট হতে হলে তাই আপনাকে একাধারে স্মার্টও হতে হবে। নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন নিজ ব্যক্তিত্ব ম্লান না হয়ে যায়। সাজটি এমন হতে হবে যেন আপনার আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তোলে। আয়নায় চোখ পড়তে যেন নিজেই উপলব্ধি করেন, ‘আরে, এই তো আমি!’ আসলে যে সাজপোশাকে আপনি নিজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন না, তা কখনোই আপনাকে অন্যের দৃষ্টিতে আকর্ষণীয় করে তুলবে না, তা যতই ট্রেন্ডি হোক না কেন।
যে ১০ টিপস মেনে পুরুষরাও নিজেদের এগিয়ে রাখতে পারেন ফ্যাশন দুনিয়ায়-
দেহের সঙ্গে মানানসই পোশাক বেছে নিন
আঁটসাঁট পোশাক পরবেন নাকি ঢিলেঢালা, তা একান্তই আপনার বিষয়। কিন্তু পোশাক কখনোই নিজের দেহের তুলনায় অনেক ছোট কিংবা অনেক বড় হওয়া উচিত না। একটা পলিশড লুক পেতে নিজের দেহের গড়নের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে পারেন।
সাজপোশাকে থাকতে হবে ভারসাম্য
আপনি রঙ প্রিয় মানুষ হতে পারেন। তবে আপনার সম্পূর্ণ সাজপোশাকে থাকতে হবে রঙ ও প্যাটার্নের ভারসাম্য। রঙচঙ্গে ভরাট প্রিন্টের কোনো শার্টের সঙ্গে আপনি যদি এক রকমের ডিজাইনের কোনো প্যান্ট বেছে নেন তবে পুরো সাজটিকে বিশৃঙ্খল মনে হবে। তাই চোখের শান্তির জন্য শার্ট ও প্যান্টের প্যাটার্নে ভারসাম্য রাখতে হবে।
নিজেকে গ্রুমিং করুন
শুধু পোশাকেই আপনার সম্পূর্ণ লুক ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠে না। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, হেয়ার স্টাইল এবং গোঁফ- দাড়িরও (ফেসিয়াল হেয়ার) যত্ন নিতে হবে। সবে মিলে তবেই না আপনি পাবেন এক পরিচ্ছন্ন লুক।
জুতা ও বেল্টে অভিজাত্য
ফ্যাশন সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন জুতা ও বেল্ট হতে হবে একই রঙ ও স্টাইলের। তাই লেদারের জুতো পরলে বেছে নিতে পারেন একই রংয়ের লেদারের বেল্টও।
বেছে নিন মানানসই মোজা
অনেকেই বাইরে থেকে দেখা যায় না এমন মোজা পরে থাকেন (নো- শো), আবার কেউ কেউ পছন্দ করেন উজ্জ্বল রঙের দৃশ্যমান মোজা। কিন্তু ফরমাল পরিবেশে অবশ্যই আপনাকে এমন মোজা পরা উচিত যা সহজে অন্য ব্যক্তির চোখে পড়বে না। পেশাদার লুক বজায় রাখতে জুতা বা প্যান্টের রঙের সঙ্গে মেলে এমন মোজা পরা উচিত।
ড্রেসকোড মেনে চলুন
আপনি যদি ক্যাজুয়াল পোশাকে কোনো ফরমাল অনুষ্ঠানে পৌঁছে যান অথবা ঘরোয়া দাওয়াতে হাজির হন গম্ভীর সাজে তাহলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের মাঝে আপনাকে বেমানান লাগবে। তাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের সম্মান রক্ষায় অনুষ্ঠানের কোড অনুযায়ী পোশাক পরতে হবে।
নিখুঁত সেলাই দেবে পরিপাটি লুক
কাস্টমাইজড এবং পলিশড চেহারা পেতে প্যান্ট, হাতা, কোমরের দৈর্ঘ্য সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করিয়ে নিতে হবে পোশাক।
ঘড়ি-সানগ্লাসসহ অ্যাকসেসরিজ হতে হবে পরিমিত
পোশাকের বাইরে আনুষাঙ্গিক বস্তুও থাকতে পারে সাজের অংশ হিসেবে। পুরুষের অ্যাকসেসরিজ বলতে আমরা বুঝি ঘড়ি, ওয়ালেট, সানগ্লাস, স্লিংব্যাগ, নোটবুক ও ফোন। এগুলো কখনই মাত্রাতিরিক্ত সঙ্গে রাখা উচিত না।
পরিষ্কার জুতায় পরিচ্ছন্ন সাজ
আপনার জুতাটা দামি হতে পারে কিন্তু তা যদি পুরানো বা ময়লা হয় তাহলে তা আপনার সাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
রঙের সমন্বয় রাখতে হবে
আপনাকে রঙের সমন্বয় জানতে হবে। কোন রঙের সাথে কোন রঙ ভালো যায় তা যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম