২০২১ সালের পর প্রথমবারের মতো চীন মূল্যসংকোচন দেখছে, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির মন্দাবস্থার বহিঃপ্রকাশ। বছরের প্রথমার্ধে আলিবাবা ২৩ হাজার ৪১০ কোটি ইউয়ানের পণ্য বিক্রি করেছে, যা বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি। আলিবাবার নিট মুনাফা ৫১ শতাংশ বেড়ে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৩ হাজার ৪৩০ কোটি ইউয়ানে পৌঁছেছে।
আলিবাবা গ্রুপে ইতিহাসের বৃহত্তম পুনর্গঠন শুরু করার সঙ্গে সর্বশেষ আর্থিক ফলাফল এমন ইতিবাচক হয়েছে। চলতি বছরের মার্চের শেষ দিকে ঘোষিত পরিকল্পনায় গ্রুপটিকে ছয়টি স্বতন্ত্র অংশে বিভক্ত করা হয়েছে, যা পাবলিক লিস্টিংয়ের মাধ্যমে পৃথকভাবে অর্থায়ন করতে সক্ষম। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যানিয়েল ঝ্যাং বলেন, ‘আমরা আমাদের কোম্পানি পরিবর্তন করার পাশাপাশি একটি ভালো প্রান্তিক কাটিয়েছি।’
২০১৯ সালে জ্যাক মা চলে যাওয়ার পর থেকে দায়িত্বে থাকা ঝাং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং কোম্পানির ক্লাউড কম্পিউটিং করা অংশের নেতৃত্ব দেবেন। ক্লাউড কম্পিউটিং ও ই-কমার্স ছাড়াও অন্যান্য চীনা প্রযুক্তিগত ইকো সিস্টেম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আলিবাবা গ্রুপ।
চীনের প্রযুক্তি ব্যবসার জন্য কঠিন সময় পার করার পর প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠন ঘটছে। পরে আলিবাবাকে প্রতিযোগিতাবিরোধী আচরণের অভিযোগে তদন্ত করে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা করেছিল। গত মাসে সরকারি কর্তৃপক্ষ ব্যাংকিং বিধি লঙ্ঘনের জন্য অ্যান্ট গ্রুপকে ৭১০ কোটি ইউয়ান জরিমানা করেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই