দলের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সৌদি আরবে সরকার সহিংসতা ও দমননীতি নিয়ে চলেছে। রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অযথা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তাদের মেরে ফেলাও হচ্ছে।
আসিরি হলেন বিমান বাহিনীর সাবেক অফিসার। তিনি বলেছেন, খুব সংকটজনক সময়ে এই দল গঠন করা হলো। দলের মুখপাত্র ও যুক্তরাজ্যের শিক্ষাকর্মী এম আল-রশিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন রাজ-পরিবারের বিরুদ্ধে তাদের কোনো শত্রুতার সম্পর্ক নেই। কিন্তু সরকারি দমন সমানে বাড়ছে। তাই এটাই দল গঠনের পক্ষে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
অশীতিপর বাবা বাদশাহ সালমান কার্যত দেশের ক্ষমতা প্রিয় ছেলের হাতেই তুলে দিয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়াও তিনি পেট্রোলিয়াম কোম্পানি আরামকো ও দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। উপ প্রধানমন্ত্রী পদও তার দখলে ছিল।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই নতুন রাজনৈতিক দল সৌদির শাসকদের সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। কারণ, এখন অশোধিত তেল বিক্রি করে আয় অনেকটাই কমেছে। করোনার কারণে আগের চাহিদা নেই বলে এই অবস্থা। তার ওপর তারা জি২০ শীর্ষ সম্মেলনও আয়োজন করছেন। নভেম্বরে এই সম্মেলন হবে। তাছাড়া ভাবী রাজা ও বর্তমানে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠছে।
অভিযোগ, তিনি তার বিরোধীদের নানা কারণ দেখিয়ে গ্রেফতার করেছেন। ২০১৮তে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাতে তার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সৌদি আধিকারিকরা অবশ্য যুবরাজের ভূমিকার কথা অস্বীকার করেছেন। তার সংস্কার কর্মসূচি নিয়েও সৌদিতে বিতর্ক হচ্ছে।
এই অবস্থায় ৮৪ বছর বয়সী রাজা সালমান জাতিসংঘে ভিডিও-ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি ইরানের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তার অভিযোগ, ইরান সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে শান্তিভঙ্গ করছে।