এর আগে যিনি চিনের ধনীতম ব্যক্তি ছিলেন, সেই জ্যাক মা-র তুলনায় তার সম্পত্তি ২০০ কোটি ডলার বেশি। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
ঝোং এখন এশিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি। তার আগে আছেন কেবল ভারতের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানী। বিশ্বে ধনীতমদের তালিকায় ঝোং আছেন ১৭ নম্বরে। চার্লস কোচ ও ফিল রাইটসের মতো অতি ধনীদের পিছনে ফেলে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন।
২০২০ সালে ঝোং-এর সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫১৯০ কোটি ডলার। অ্যামাজন ডট কম ইনকর্পোরেটেডের মালিক জেফ বেজোস ও টেসলা ইনকর্পোরেটেডের ইলোন মাস্ক বাদে এবছর আর কারও সম্পত্তি এত বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পায়নি। গত বুধবার অবশ্য অ্যামাজন আর টেসলা, দু’টি সংস্থারই শেয়ারের দর ব্যাপক কমেছে। ইলোন মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে ১ হাজার কোটি ডলার।
ঝোং-এর বোতলভর্তি পানির কোম্পানির নাম নংফু স্প্রিং কর্পোরেশন। হংকং-এ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই ব্র্যান্ডটি খুবই জনপ্রিয়। চলতি মাসের শুরুতে ঝোং চীনের তিন ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। গত এপ্রিলে চীনের ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা ওয়ানতাই বায়োলজিক্যাল ফার্মেসি এন্টারপ্রাইস কোম্পানি শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত হয়। এর ফলে আগাস্টে ঝোং এর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার কোটি ডলার।
সাধারণত বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থার মালিকরা চীনে ধনীতমদের তালিকায় থাকেন। আলিবাবার মালিক জ্যাক মা গত ছ’বছর ধরে চীনের ধনীদের শীর্ষে ছিলেন। আপাতত ঝোং তাকে টপকে গিয়েছেন বটে কিন্তু সম্ভবত খুব শীঘ্র জ্যাক মা আগের অবস্থানে ফিরে যাবেন। পর্যবেক্ষকরা এমনই মনে করছেন।
গত বুধবার বিশ্ব জুড়ে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর শেয়ারের দর কমেছে। সবচেয়ে কমেছে আমেরিকায়। সবচেয়ে বেশি কমেছে ইলোন মাস্কের কোম্পানির শেয়ারের দাম। ব্লুমবার্গের ৫০০ জন ধনীতমের তালিকায় থাকা আর কোনও ব্যক্তির কোম্পানির শেয়ারের দর অত কমেনি। জেফ বেজোসের সম্পত্তির দাম কমেছে ৭১০ কোটি ডলার। এখন ইলোন মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ ৯৩২০ কোটি ডলার। জেফ বেজোসের সম্পত্তির পরিমাণ ১৭ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।