শেষ ধাপের পরীক্ষায় থাকা এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ফল আগামী কিছুদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। ব্রাজিল, তুরস্ক এবং ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের এই ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ ও চিলিতেও শিগগিরই সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ওয়েইডং। নিজেদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন সিনোভ্যাকের এই প্রধান নির্বাহী ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে শরীরে প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চীনে জরুরি ব্যবহারের জন্য হাজার হাজার মানুষের শরীরে সিনোভ্যাকের এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগও শুরু হয়েছে।
করোনার উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের উহানে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা কথা জানিয়ে তিনি বলেন, একেবারে শুরুতেই চীন এবং উহানের জন্য আমরা কৌশল সাজিয়েছি। পরবর্তীতে জুন এবং জুলাইয়ে আমরা বিশ্বের জন্য কৌশল সংযুক্ত করেছি।
ওয়েইডং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভ্যাকসিনটি সরবরাহ করাই আমাদের লক্ষ্য। যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার কঠোর আইনের কারণে এসব দেশে চীনের ভ্যাকসিন বিক্রি সম্ভব নয়। তবে সিনোভ্যাকের এই প্রধান নির্বাহীর আশা- শেষ পর্যন্ত আইনে পরিবর্তন আসতে পারে।
ৃ
চীনের তৈরি অন্তত চারটি ভ্যাকসিন বর্তমানে শেষ ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সিনোফার্মের দুটি, দেশটির সামরিক বাহিনীর ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ক্যানসিনোর একটি এবং সিনোভ্যাকের একটি রয়েছে।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের দক্ষিণাঞ্চলে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন তৈরির কারখানায় বিশাল কর্মযজ্ঞ ও ব্যস্ততা চলছে। বৃহস্পতিবার এই কারখানায় একদল সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন সিনোভ্যাকের প্রধান ওয়েইডং। ইতোমধ্যে এই কারখানায় ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং বোতলজাতকরণের কাজ শুরু হয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চের শুরুর দিকে কয়েক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সিনোভ্যাক। শিশু এবং বয়স্কদের জন্যও ভ্যাকসিনের ছোট ছোট ডোজের পরীক্ষা শুরু করেছে চীনা এই কোম্পানি।
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে এ দুই শ্রেণির মাঝে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন এই উদ্যোগ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনোভ্যাকের প্রধান। যেসব দেশ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে সেসব দেশ অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছেন ওয়েইডং।