কেপলারের দেয়া তথ্য বলছে, চলতি মাসে ইরান চীনের বাজারে দৈনিক ১৫ লাখ ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করছে। এটি ২০১৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ রফতানি। বর্তমানে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে আমদানিকারকদের কাছে মূল্যছাড়ের জ্বালানি তেল আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে ব্যাপক মূল্যছাড় দিচ্ছে ইরান। এ কারণে চীন দেশটি থেকে আমদানি বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে মূল্যছাড়ের সুবিধার কারণে রাশিয়া থেকেও আমদানি বাড়াচ্ছে বেইজিং। ফলে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে চীনের জ্বালানি তেলের বাজারে প্রতিযোগিতা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
চীন বিশ্বের শীর্ষ জ্বালানি তেল আমদানিকারক। চলতি বছরের শুরু থেকেই ইরানি জ্বালানি তেল আমদানি বাড়াচ্ছে। কেপলার জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চীন ইরানের কাছ থেকে গড়ে দৈনিক ৯ লাখ ১৭ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে।
চীনের শানডং প্রদেশের অনেক বেসরকারি পরিশোধন কোম্পানি ক্রমবর্ধমান হারে ইরানের অপরিশোধিত তেল কিনতে শুরু করেছে। ইরানি জ্বালানি তেলের প্রধান দুটি গ্রেড বর্তমানে ব্রেটের (জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ) তুলনায় ১০ ডলার কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এটি রুশ জ্বালানি তেলের চেয়েও যথেষ্ট সস্তা।
চীনে ইরানি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানির কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই। তাই ট্যাঙ্কার-ট্র্যাকিং কোম্পানিগুলোর তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হয় বাজার ব্যবস্থাকে। তবে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) নিশ্চিত করেছে যে ২০২৩ সালে তেহরানের দৈনিক জ্বালানি তেল রফতানির পরিমাণ প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল স্পর্শ করেছে।
গুরুতর আর্থিক বিধিনিষেধ সত্ত্বেও ইরান ২০২২ সালে প্রতিদিন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল বৃদ্ধি করে গড়ে দৈনিক ২৫ লাখ ব্যারেল উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিল। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা বলছে, তেহরান চীনের কাছে অপরিশোধিত তেলের বিক্রি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিক থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০ লাখ ব্যারেল করে রফতানি অব্যাহত আছে।
অর্থসংবাদ/এমআই