জাপানের সামুদ্রিক খাবার রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার চীন। প্রায় ১২ বছর আগে সুনামির আঘাতে ধ্বংস হওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পানি ছাড়া নিয়ে সেই বাজার হারাতে যাচ্ছে চীন।
চীনের শুল্ক বিভাগের এক বিবৃতে বলা হয়, প্রশান্ত মহাসাগরে তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় জাপানের সব সামুদ্রিক পণ্য ও খাবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে হংকং জাপানের ১০টি অঞ্চলের সামুদ্রিক পণ্য ও খাবারের নিষেধাজ্ঞা দেয় ।
তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়ে জাপানকে ‘ভুল কাজ’ বন্ধ করতে দাবি জানায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘জাপান স্বার্থপরের মতো’ বিশ্বের মানুষের ক্ষতি করছে বলে সমালোচনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার পানির সুইচ চালু করে ১ হাজার ২০০ ঘন মিটার পানি সাগরে ছাড়ে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো)। এই পানি দিয়ে ৫৪০টি অলিম্পিক সুইমিং পুল ভরা যাবে।
তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছাড়বে জাপানতেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছাড়বে জাপান
জাপান বলছে, বৃষ্টির পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির স্টোরেজ এলাকায় ঢুকে যাচ্ছিল। তাই পানি রাখার জায়গা ফুরিয়ে যায়। সে কারণেই সাগরে এই পানি ছাড়া হচ্ছে। এই তেজস্ক্রিয় পানি পরিশোধিত করা হয়েছে; এটি বিপজ্জনক নয় বলে টেপকোর দাবি। আর আন্তর্জাতিক পারমাণু শক্তি সংস্থা বলছে, এই পানি পরিবেশে যা ক্ষতি করবে, তা ‘নগণ্য’।
কিন্তু চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জাপানের দাবি সমর্থনে কোনো ডেটা নেই। এই পানি সামুদ্রিক পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য কতটুকু নিরাপদ, তারও কোনো প্রমাণ নেই।
জাপান সাগরকে ‘নর্দমা’ হিসেবে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে চীন বলছে, খাদ্যনিরাপত্তা ও জনগণের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য সরকার যা যা করার সবই করবে।