স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক থেকে ২০ হাজার ডেঙ্গু টেস্টিং কিট স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ঢাকার চীনা দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ল্যাং ল্যাং, সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন জ্যাং এবং চিফ বিজসেন ডিরেক্টর বেটি লি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চীন সরকার, তাদের প্রতিনিধি এবং সিনোভ্যাকের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের ২০ হাজার কিট দিয়েছে। আপনারা জানেন যে চায়না সরকার আমাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। করোনার সময় চীন থেকে সিনোভ্যাকের বেশ কিছু ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছিলাম।
এছাড়া ফেস মাস্কসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র পেয়েছি। তাদের দেশে যখন প্রথম দিকে করোনা আক্রান্ত হয়, তখন আমরাও তাদের অনেক জিনিসপত্র পাঠিয়েছিলাম। চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। চীন আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তবে আমাদের কিটের সংকট নেই।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু সংখ্যা অনেক বেশি। চিন্তার বিষয় হলো ঢাকার থেকে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। ডেঙ্গু রোধ করতে হলে আমাদের মশা জন্মনোর আগেই লার্ভা মারতে হবে। এই লার্ভা মারতে সারা বছরই কাজ করতে হবে। এবং যে ওষুধে মশা মরে সেই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ বছরও অধিক হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগ চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোগীর তুলনায় বেডের সংখ্যা বেশি প্রস্তুত রয়েছে। টেস্টিং কিট এবং স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমানসহ প্রমুখ।
অর্থসংবাদ/এমআই