সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই প্রকল্প থেকে রূপালী ব্যাংক আর্থিকভাবে লাভবান না হলেও দেশের অর্থনীতির জন্য বিপুল সুফল নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। কৃষকদের সঙ্গে সঙ্গে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াবে বাংলাদেশের গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতি। আর দেশের অর্থনীতি এখনো কৃষিনির্ভর হওয়ায় এই উদ্যোগ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ‘মুজিববর্ষের স্পর্শে স্পন্দিত রূপালী ব্যাংক’ ১ জানুয়ারি থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে টমেটো চাষিদের মধ্যে ‘জিরো কুপন লেন্ডিং’ কর্মসূচির আওতায় ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে নাটোরের ৫০০ টমেটো চাষিকে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১৯-২০ অর্থবছরের কৃষিঋণ নীতিমালা অনুযায়ী এই পরিমাণ ঋণ দিয়ে কৃষক ১ দশমিক ২৯ একর জমিতে টমেটো চাষ করতে পারবে।
জানা দেছে, প্রতিটি ঋণের মেয়াদ থাকবে ছয় মাস। গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও রবি টমেটো চাষের জন্য বছরে দুবার ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকটি। রবি টমেটো চাষের জন্য ১৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর এবং গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ঋণ বিতরণ করা হবে। রবি টমেটো চাষের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এবং গ্রীষ্মকালীন সময়ের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
এই ঋণ সহায়ক জামানতমুক্ত। তবে স্বামী বা স্ত্রী অথবা গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তি ঋণের জামিনদার হিসেবে থাকবেন। কৃষককে দশ টাকার কৃষক হিসাবের মাধ্যমেই ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ করতে হবে। উৎপাদিত টমেটো বিক্রির অর্থের মাধ্যমে দৈনিক বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ঋণ বিতরণকারী শাখা কৃষকের দশ টাকার হিসাব থেকে ঋণের টাকা আদায় করতে পারবে। ঋণ বিতরণকারী শাখা, জোনাল অফিসের প্রতিনিধি ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত টিম চারা রোপণ থেকে শুরু করে ঋণ আদায় পর্যন্ত তদারকি করবেন বলে জানা গেছে।