গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ট্রেডিং শেষ হওয়ার সময় পুঁজিবাজারে ফার্মটির বাজারমূল্য ছিল ৪২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
ওষুধটি এখন যুক্তরাজ্যের পাবলিক হেলথ কেয়ার সিস্টেম (এনএইচএস) ও বেসরকারি বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে।
স্থূলত্বের চিকিৎসায় ওয়েগোভি সপ্তাহে একবার গ্রহণ করতে হয়। এতে পেট ভরা আছে অনুভূত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা খাবার গ্রহন করেন কম ও ওজন হ্রাস পায়।
এ ওষুধের আলোচিত ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলোন মাস্কের মতো ব্যক্তিত্বরা। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ন্ত্রকরা এর অনুমোদন দেয়। এরপর হলিউড ও মার্কিন জনগণেরর কাছে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়।
ওয়েগোভি ও ওজেম্পিকের প্রভাব প্রায় একই। ওজেম্পিককে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ‘অলৌকিক’ ওষুধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এ ধরনের ওষুধ কোনো সমাধান নয়। এগুলো স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও ব্যায়ামের বিকল্প নয়।
ট্রায়ালে দেখা গেছে, ব্যবহারকারীরা ওয়েগোভি সেবন বন্ধ করে দিলে ওজন আগের স্থানে ফিরে আসে।
ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে বৈশ্বিক বাজারে ওয়েগোভির ঘাটতি রয়েছে। তাই যুক্তরাজ্যে সীমিত স্টক এসেছে।
বিশেষ শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাজ্যের এনএইচএস এ ওষুধ সেবনের অনুমোদন দিয়েছে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) অনুসারে, যুক্তরাজ্যে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন। এ হার ইউরোপে সর্বোচ্চ।
গত মাসে একটি নতুন পরীক্ষায় দেখা গেছে, স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে ওয়েগোভি। এখনো পর্যালোচনায় থাকা এ ফলাফলকে ‘সম্ভাব্য তাৎপর্যপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করছে বিশেষজ্ঞরা।
অর্থসংবাদ/এমআই