জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনোর প্রভাবকে এ মশাবাহীত রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী করছে ডব্লিউএইচও। জানা যায়, শুধুমাত্র ১২ আগস্টেই প্রায় ১০ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে ।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানান, বাংলাদেশে শুধু গত আগস্টেই ৩০০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সংস্থাটি জানায়, তারা বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ মোতায়েন করেছে যারা সার্বিক তত্ত্বাবধানে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করছেন। একইসঙ্গে গবেষণাগারের সক্ষমতা ও আক্রান্ত সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতেও সহায়তা করছেন তারা।
সংস্থাটির অ্যালার্ট অ্যান্ড রেসপন্স পরিচালক আবদি মাহামুদ সম্মেলনে বলেন, এ ধরনের সংক্রমণের ঘটনাগুলো ‘আসন্ন জলবায়ু সংকটের অশনি সংকেত’ দিচ্ছে।
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও এ বছরের বাড়তি উষ্ণতা সৃষ্টিকারী এল নিনোর মতো কিছু আবহাওয়াগত নিয়ামক বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ পর্যায়ের ডেঙ্গু সংক্রমণ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ১০০টির বেশি দেশে প্রতি বছর ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।
আরো জানায়, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সবগুলোতেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই কোটি মানুষের শহর রাজধানী ঢাকা। তবে এখানে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই