চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে বাড়ছে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে ভারত সাগর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে। বিশেষ করে রেল ও বন্দর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে চীনা কোম্পানিগুলো এগিয়ে রয়েছে। চীনের ইউনিয়ন রিসোর্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইউনান এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট মিয়ানমারের দক্ষিণ অঞ্চলে ২৫০ কোটি ডলারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে উচ্চক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে ২০২৭ সাল থেকে।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে মেডিকেল টিম পাঠিয়েছে চীন
মহামারীর কারণে চীনের নেয়া ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ অনেকটা গতি হারিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমারে চীনের উপস্থিতি কমেনি। মিয়ানমারের তৈরি পোশাক শিল্পে চীনের উপস্থিতি সবচেয়ে স্পষ্ট। সেখানে চীনা মালিকানাধীন কারখানাও রয়েছে। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমে সম্প্রসারণ হয়েছে। মিয়ানমারে বর্তমানে তিন শতাধিক চীনা পোশাক শিল্প-কারখানা রয়েছে। দেশে উৎপাদিত মোট পোশাকের প্রায় অর্ধেকই উৎপাদন হয় চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে।
থাই কোম্পানিগুলোও মিয়ানমারের বাণিজ্যিক শূন্যতা পূরণে এগিয়ে এসেছে। পানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসা বাড়াচ্ছে। পানীয় কোম্পানি ফ্রেজার অ্যান্ড নিয়াভ কেবল জুলাইয়েই ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার ব্যয় করেছে মিয়ানমারে অ্যালকোহলের লাইসেন্স ও ভূমি ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে। স্থানীয় কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে অন্য প্রতিষ্ঠান এফঅ্যান্ডএন। এফঅ্যান্ডএন ২০১৯ সাল থেকে মিয়ানমারে বিয়ার সরবরাহ করে আসছে।
অর্থসংবাদ/এমআই