করোনা পরীক্ষার একটি কিটের দাম হবে সর্বোচ্চ পাঁচ ডলার বা বাংলাদেশের মূল্যে ৪০০ টাকার কিছু বেশি। পরীক্ষাও হবে অপেক্ষাকৃত কম সময়ে। খবর রয়টার্সের।
সোমবার ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান।
ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের জন্য ১২ কোটি টেস্ট কিট তৈরি করে দিতে সম্মত হয়েছে চিকিৎসা সামগ্রী প্রস্তুতকারী দুই প্রতিষ্ঠান অ্যাবোট ও এসডি বায়োসেনসর। এই র্যাপিড টেস্ট কিট আগামী ছয় মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে।
করোনার নিয়ে গবেষণায় মোট ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
সংস্থাটি ওষুধ, চিকিৎসা এবং টিকা বানানোর কার্যক্রমে সহায়তা এবং ভাইরাসের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব কাটাতে এই অর্থ ব্যয় করবে।
জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ইনোভেটিভ নিউ ডায়াগনস্টিকের (এফআইএনডি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথরিনা বোহেম বলেন, কিট তৈরির ক্ষেত্রে যে চুক্তি করেছে তিনটি প্রতিষ্ঠান তা একটি মাইলস্টোন।
দরিদ্র দেশগুলোতে টিকার পরীক্ষা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম ধাপ হলো ব্যাপক হারে পরীক্ষা।
অ্যান্টিজেন টেস্টের ক্ষেত্রে পরীক্ষাগারে নমুনা নেয়ার দরকার হয় না। পরীক্ষার ফল মাত্র ১৫ মিনিটেই পাওয়া সম্ভব হয়। বোহেম বলেন, নারীদের গর্ভধারণের পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত টেস্ট কিটের মতো কাজ করবে এই অ্যান্টিজেন টেস্ট।