শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করে শ্রীলঙ্কাকে একাই গুড়িয়ে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। অষ্টমবারের মতো এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হতে সবচেয়ে বেশি অবদান সিরাজের। এজন্যই মোহাম্মদ সিরাজের হাতে উঠল ফাইনালে ম্যাচসেরার পুরস্কার। পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ৫ হাজার ডলার বা প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা সিরাজ উৎসর্গ করেছেন মাঠকর্মীদের।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে রবি শাস্ত্রির সঙ্গে কথা বলার সময় সিরাজ বলেন, ‘এই অর্থ পুরস্কারটা গ্রাউন্ডসম্যানদের জন্য। তাদের ছাড়া এই টুর্নামেন্টটা হতো না।’ সিরাজের এই ঘোষণাকে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামের দর্শকেরা হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।
ক্যারিয়ার সেরা ২১ রানে ৬ উইকেট নেয়া সিরাজ নিজের বোলিং পারফরম্যান্সের জন্য নিজের ভাগ্যকে কিছুটা কৃতিত্ব দিলেন। তিনি বলেন, আমি গত কয়েক ম্যাচে ভালোই বোলিং করছিলাম। অনেক বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে যাই যাই করছিল। আজ সেই ব্যাটের কানা খুঁজে পেয়েছি।
উইকেট নিয়ে সিরাজ বলেন, ‘উইকেটে আজ বল সিম করছিল। সুইংও ছিল। তাই আমি ফুল লেংথে বল করার চেষ্টা করেছি।’ যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামির সঙ্গে বোলিং জুটিও সিরাজকে আক্রমণাত্মক বোলিং করার সুযোগ করে দিয়েছে, ‘ফাস্ট বোলারদের মধ্যে যখন বোঝাপড়াটা ভালো হয়, তখন ভালো কিছু হয়।’
সিরাজকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। তিনি বলেন, সিরাজকে অনেক কৃতিত্ব দিতেই হয়। সে সুইং করাতে পারে, সিম মুভমেন্টও করাতে পারে। সব পেসারদের মধ্যে এই দক্ষতা থাকে না। সে এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছে।
এর আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) দুই ভেন্যু কলম্বো ও ক্যান্ডির গ্রাউন্ডসম্যানদের জন্য ৫০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। এসিসি সভাপতি জয় শাহ কলম্বো ও ক্যান্ডির কিউরেটর-গ্রাউন্ডসম্যানদের ‘আনসাং হিরো’ হিসেবে অভিহিত করে জানিয়েছেন, তাদের ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৫৫ লাখ টাকা পুরস্কার দিচ্ছে এসিসি ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। ম্যাচ শেষে মাঠকর্মীদের হাতে এই অর্থ তুলে দেয়া হয়।
ফাইনাল চলাকালে এক টুইট বার্তায় জয় শাহ বলেন, ক্রিকেটের আনসাং হিরোদের জন্য একটা বড় শোরগোল হয়ে যাক। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কলম্বো ও ক্যান্ডিতে দায়িত্বরত কিউরেটর ও গ্রাউন্ডসম্যানদের জন্য ৫০ হাজার ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, তাদের অটুট প্রতিশ্রুতি আর কঠোর পরিশ্রম এশিয়া কাপকে একটি অবিস্মরণীয় ইভেন্টে পরিণত করেছে। পিচ ঠিকঠাক রাখাসহ যথোপযুক্ত আউটফিল্ড, তারা নিশ্চিত করেছে রোমাঞ্চকর ক্রিকেটের জন্য যেন মাঠ প্রস্তুত থাকে। এই স্বীকৃতি তুলে ধরল, ক্রিকেটে এই মানুষদের ভূমিকা। আসুন উদযাপন করি, আর তাদের কাজকে সম্মান করি।
অর্থসংবাদ/এসএম