প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এবি ব্যাংকে প্যারাডাইস স্পিনিং মিলের নামে খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ১২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।একই সময়ে প্যারাডাইস কেবলসের খেলাপি ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।এই টাকা আদায়ে গত ২৫ জুন এবং ২৩ জুলাই দুইটি নিলামের আয়োজন করে এবি ব্যাংক।
একই সাথে টাকা আদায়ে গত ২১ জুন নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এর আওতায় চেক ডিসঅনার এর ফৌজদারি মামলা করে এবি ব্যাংক। ওই মামলায় প্যারাডাইস গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কয়েকজন পরিচালকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এসআই ফারুক বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে প্যারাডাইস গ্রুপের চেয়ারম্যানের বাসায় গ্রেপ্তার অভিযানে গেলে জানা যায় তিনি তার পরিবারসহ কানাডায় পালিয়ে গেছেন। এছাড়া প্যারাডাইস গ্রুপের এমডি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে তার বাসার কর্মচারী জানায়।
উল্লেখ্য, এবি ব্যাংকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে প্যারাডাইস গ্রুপভুক্ত দুইটি প্রতিষ্ঠানে নামে। ওই ঋণ পরিশোধ না করায় মঙ্গলবার প্যারাডাইস গ্রুপের চেয়ারম্যান মো.মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী মাহবুবা মোশাররফ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান, পরিচালক মনিয়ার হোসের ও মোবারক হোসেনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।