এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া গোল্ডিন। নারী শ্রম বাজারের ফলাফল সম্পর্কে জ্ঞানবৃদ্ধিতে অবদানের জন্য এই সম্মাননা পেলেন তিনি। সোমবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টার পর স্টকহোম থেকে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ক্লডিয়ার নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
এ বছর ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ঘোষণা করা হয়েছে নোবেল বিজয়ীদের নাম। গত ২ অক্টোবর চিকিৎসাবিজ্ঞানে, ৩ অক্টোবর পদার্থে, ৪ অক্টোবর রসায়নে, ৫ অক্টোবর সাহিত্যে এবং ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোসণা করা হয়। দুদিন বিরতি দিয়ে আজ ঘোষণা করা হলো অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম।
এর আগে, গত বছর অর্থনীতিতে নোবেল জিতেছিলেন তিন মার্কিন নাগরিক। তারা হলেন বেন এস বারন্যাঙ্কে, ডগলাস ডব্লিউ ডায়মন্ড, ফিলিপ এইচ ডিবভিগ। ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে গবেষণা করায় এ পুরস্কার দেওয়া হয় তাদের।
২০২১ সালেও অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন তিনজন। তারা হলেন ডেভিড কার্ড, জোশুয়া ডি অ্যাংরিস্ট ও গুইদো ডব্লিউ ইমবেন্স। শ্রম অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ডেভিড কার্ড ও কারণগত সম্পর্ক বিশ্লেষণে পদ্ধতিগত অবদানের জন্য বাকি দুই অর্থনীতিবিদ নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
ডিনামাইট আবিষ্কারক সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল অনুযায়ী নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। প্রথম পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯০১ সালে। সেময় পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সফল, অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমের জন্য পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি। যদিও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সাল থেকে।
এ বছর অর্থমূল্য বাড়ছে নোবেল পুরস্কারের। গতবারের চেয়ে এ বছরের বিজয়ীরা ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বেশি পেতে চলেছেন। নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ক্রোনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
অর্থসংবাদ/এসএম