সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ অবাধ বাণিজ্য চুক্তি। দু’একটি দেশের সঙ্গে ইতোমধ্যেই তা করেছে নয়াদিল্লি। তবে ভারতীয় পণ্যের বড় বাজার, এমন আরও অনেক বেশি সংখ্যক অর্থনীতির সঙ্গে দ্রুত সেই প্রক্রিয়া সারতে হবে।
ভারতের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে রপ্তানির জন্য উৎপাদন। ২০১৭-১৮ সালে জিডিপিতে তার অংশ ছিল ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২১-২২ সালে বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ৪ শতাংশ। ফলে রপ্তানি কমলে কল-কারখানায় পণ্যের উৎপাদন কমবে। ধাক্কা লাগবে আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ভারতের রপ্তানি কমে হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৭ কোটি ডলার। আমদানি খরচও ১৫ শতাংশ কমেছে। তবে তার পরেও বিদেশ থেকে পণ্য-পরিষেবা কেনার অঙ্ক ৫৩৮৪ কোটি ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি খাতে আয় যা হচ্ছে, আমদানিতে ব্যয় তার থেকে অনেক বেশি।
বলা হচ্ছে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম ফের বেড়েছে। এর ফলেও ডলার খরচ হচ্ছে বেশি। রফতানি কমতে থাকায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞেরা আরও বেশি উদ্বিগ্ন পশ্চিম এশিয়া অশান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে। তাদের দাবি, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যুদ্ধ ঘোষণা করায় এই রপ্তানি আরও কমতে পারে। কারণ ভারতের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য সহযোগী তেল আভিভ।
তবে ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়ালের দাবি, সেপ্টেম্বরের পরিসংখ্যানে উন্নতির ইঙ্গিত স্পষ্ট। বোঝা যাচ্ছে, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্কট মাথায় নিয়েই ভারতের রপ্তানি এগোচ্ছে। এপ্রিল, মে, জুন, জুলাইয়ে সংকোচন ১০ শতাংশের ওপরে ছিল, এখন তার নীচে নেমেছে। ফিনল্যান্ড, তুরস্ক, মালটা, ফিলিপাইনের মতো নতুন নতুন বাজারে পা রাখা হচ্ছে। তার আশা আগামী ছয় মাসে রপ্তানি বৃদ্ধির কক্ষপথে ফিরবে। আমদানি কমার কারণ হিসেবে কেন্দ্রের নেওয়া বিকল্প নীতি (দেশীয় উৎপাদনে জোর), বিশ্ব বাজারে তেল-সহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমার কথাও বলেছেন তিনি।
আমদানি এবং রপ্তানি, দু’টিই কমার ফলে সেপ্টেম্বরে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। সরকারি হিসাবে তা এখন ১৯৩৭ কোটি ডলার।
অর্থসংবাদ/এসএম