এখনকার আবহাওয়া বেশ বিপজ্জনক। সারা দিন গরম থাকলেও শেষরাতে ঠাণ্ডা পড়ে। এ জন্য এখনকার আবহাওয়ায় শিশুদের ঠাণ্ডা-সর্দিতে ভুগতে দেখা যায়।
শিশু বয়সে ডাক্তার দেখানোর প্রধান কারণ ঠাণ্ডা-সর্দি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চারপাশের বাতাসে ভেসে থাকা ভাইরাসজনিত কারণে বা হাতে লাগে এমন সব বস্তুর সংস্পর্শ হতে ঠাণ্ডা-সর্দি অসুখের সূত্রপাত হয়। এর প্রেসক্রিপশন বেশ সহজ; সময়ের সঙ্গে শিশু সেরে উঠবে এবং তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
লক্ষণ
* নাক জ্যাম ভাব, সর্দি ঝরা—প্রথমে পানির মতো ঝরবে। পরে তা তা ঘন হলুদাভ বা সবুজ রঙের হয়ে উঠতে পারে।
* খুসখুস গলা বা গলা ব্যথা
* হাঁচি ও কাশি
* মাথা ব্যথা
* সামান্য জ্বর
* ক্লান্তি ভাব
* খাবার খেতে অনীহা
করণীয়
* প্যারাসিটামল দেওয়া।
* ভাপ বা বাষ্প নাক দিয়ে টানতে বলা।
* নাসারন্ধ্র খোলা রাখতে লবণ জল বা স্যালাইন জলের ড্রপস ব্যবহার করা।
* নাকের ঘন সর্দি বাল্ব সিরিঞ্জ দিয়ে বের করে আনা—যদি প্রয়োজন হয়।
* প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার, বুকের দুধ, ফলের রস খাওয়ানো। তবে ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় খাওয়া যাবে না।
* ২ বছরের নিচে কম বয়সী শিশুকে কফ-কাশির সিরাপ কখনো না দেওয়া। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
* কখনো শিশুকে এসপিরিনজাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না।
কখন চিকিৎসা প্রয়োজন?
* যদি ঠাণ্ডা-সর্দির প্রকৃতি আরো খারাপ হয়ে যায় বা এক সপ্তাহে তা না কমে।
* ঠাণ্ডা-সর্দি-কাশি যদি পরাগ, ধুলাবালি, পশুর লোম—এসবের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
* ভাঙা কাশি ও এর সঙ্গে শ্বাসে শাঁই আওয়াজ।
* শিশুকে বেশ অসুস্থ দেখালে বা বেশি মাত্রার জ্বর।
* গলা ব্যথার কারণে শিশু যদি খেতে বা পানীয় পান করতে না পারে।
* তীব্র মাথা ব্যথা।
প্রতিরোধে যা মানতে বলবেন
* শিশুকে ঠাণ্ডা-সর্দিতে আক্রান্ত বা ধূমপানরত এমন কারো কাছাকাছি থাকতে নিষেধ করা।
* অন্য শিশুর সঙ্গে খেলার পর বা নাক ধরার পর সময়মতো হাত ধুয়ে দেওয়া।
* সর্দি বা হাঁচি-কফ টিস্যু বা রুমালে মুছে নিতে বলা।
অর্থসংবাদ/এসএম