যারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান থেকে প্রক্রিয়াজাত পেট্রোলিয়াম আমদানি করবে সেসব বিদেশী বন্দর ও শোধানাগারগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিনেটে পাসের পর এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের পর বিলটি আইন হবে।
ডেমোক্র্যাট সদস্য মাইক ললার বিলটিকে রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলোর জন্য সতর্কবার্তা বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘ইরানের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে যারা সাহায্য করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইরানের জ্বালানি তেলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অপরিশোধিত তেলের রফতানি বাড়ছে। অন্যদিকে ইরান দাবি করছে, তারা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এফজিএক্স ও ভরটেক্সা নামের দুটি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন অনুসারে, সেপ্টেম্বরে ইরানের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রফতানি প্রায় ১৫ লাখ ব্যারেল, যা দেশটির চার বছরে সর্বোচ্চ। এ রফতানির ৮০ শতাংশেরও বেশি চীনে সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। যার মধ্যে বেশির ভাগ বেসামরিক নাগরিক। এর পর থেকে মার্কিন আইন প্রণেতারা বিভিন্নভাবে ইরানকে চাপে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এমআই