ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হওয়ার পর বাজার ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে চলতি বছরের শুরুতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন হ্রাসের যে পদক্ষেপ নিয়েছিল সৌদি আরব ও রাশিয়া, তা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
সোমবার পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্বের শীর্ষ দুই তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশ। জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাসেরও নেতৃত্বে রয়েছে এ দু’টি দেশ।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। ফলে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম কয়েক মাসে হু হু করে বাড়ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বা পেট্রোলিয়ামের দাম।
কিন্তু একই সঙ্গে ডলারের দামও বাড়তে থাকায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ জ্বালানি তেল ক্রয় কমিয়ে দেয়। ফলে তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয় এবং লোকসানের শিকার হতে থাকে তেল উত্তোলন ও বিক্রয়কারী দেশগুলো।
এ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম তেলের উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত জানায় রাশিয়া। সে সময় এক বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছিল, এখন থেকে প্রতিদিন তিন লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবে দেশটি। রাশিয়া এই ঘোষণা দেওয়ার প্রায় দেড় মাস পর সৌদির জ্বালানি তেল বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিজেদের দৈনিক তেলের উত্তোলন ১ কোটি ব্যারেল থেকে ৯০ লাখে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়।
সোমবার এক বিবৃতিতে সৌদির মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত তেলের উত্তোলন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির। সৌদি আরবের এই বিবৃতি দেওয়ার কিছু সময় পর এক বিজ্ঞপ্তিতে চলতি বছর শেষ হওয়া পর্যন্ত তেলের উত্তোলন বৃদ্ধি না করার ঘোষণা দেয় রাশিয়াও।
আগামী ২৬ মে ভিয়েনায় বৈঠক রয়েছে ওপেক প্লাসের। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৪ সালে তেলের উত্তোলন বাড়ানো হবে কি না— সেবিষয়ক সিদ্ধান্ত হবে ওই বৈঠকে।