অর্থনীতিবিদরা জানান, চীনের উচিত আগামী দশকের জন্য ঘাটতির যে সর্বনিম্ন গড় আছে, সে সংখ্যা সংশোধন করা। জিডিপি কমার হার ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা উচিত। এটি সরকার নির্ধারিত গড় ৩ শতাংশের চেয়ে কম। এ ৩ শতাংশ পর্যন্ত সরকার সাধারণত স্বীকার করে। তবে এবার এ হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়েও কম হতে পারে। ফলে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে মধ্যমেয়াদি বাজেট সংশোধন করার প্রয়োজন হতে পারে।
অর্থনীতিবিদরা পরামর্শ দেন, অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার জন্য সরকারকে আরো আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে।
কয়েকজন অর্থনীতিবিদ একমত পোষণ করে জানান, গত মাসের অস্বাভাবিক বাজেট সংশোধন এবং আরো ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান মূল্যের ঋণ অর্থনীতিকে নতুন করে চাপে ফেলবে। অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা করেন, নীতি পরিবর্তনের ফলে বেইজিংয়ের স্থানীয় সরকারের অংশগুলো ঋণের চাপে পড়তে পারে।
প্রসঙ্গত, চীনের অর্থনীতি মহামারীর আগে থেকে নিম্নমুখী ছিল। এর পেছনে চাহিদার ক্রমহ্রাসমান হার একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে। এ বছর রফতানি খারাপ হয়েছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম নেতিবাচক। যদিও এটি আগামী বছর উন্নতি করতে পারে। আগামীতে প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং দেশীয় লেনদেনের ওপর নির্ভর করা ছাড়া চীনের কোনো বিকল্প থাকবে না।
অর্থসংবাদ/এমআই