মাস্টারকার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কার্ড ব্যবসা চালুর অনুমোদন পেয়েছে। তবে কাজটি চীনের নেটস ইউনিয়ন ক্লিয়ারিং করপোরেশনের (এনইউসিসি) সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে করা হবে।
পিপলস ব্যাংক তাদের বিবৃতিতে বলেছে, এখন থেকে মাস্টারকার্ড তার নিজস্ব ব্র্যান্ডের অধীন ইউয়ানে লেনদেনকারী চীনা ব্যাংকগুলোর কার্ড ইস্যু করতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে গত সপ্তাহে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশনের (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর এক ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং পরস্পরের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। এর এক সপ্তাহ পরই অনুমোদন পেল মাস্টারকার্ড।
মাস্টারকার্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল মিবাচ অ্যাপেক সম্মেলনে সিইওদের একটি অধিবেশনে অংশ নিয়েছিলেন। এই অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে টেসলার সিইও ইলন মাস্ক এবং অ্যাপলের সিইও টিম কুকও উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল লেনদেনের বিস্তৃতির মাধ্যমে বর্তমানে চীন প্রায় একটি নগদহীন সমাজে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে এ পদ্ধতিতে বছরে প্রায় ৪৩৪ ট্রিলিয়ন বা ৪৩৪ লাখ কোটি ইলেকট্রনিক লেনদেন হয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে চীনের দুই বিখ্যাত প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আলিবাবা ও টেনসেন্টের ডিজিটাল ওয়ালেট আলিপে ও উইচ্যাট। মোট লেনদেনের ৯১ শতাংশই হয় এ দুই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
আরেক কার্ড পরিষেবা কোম্পানি ভিসাও ২০২০ সালের মে মাসে চীনে নিজস্ব কার্ড–সুবিধার জন্য নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল। কিন্তু তারা এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া পায়নি।
অর্থসংবাদ/এমআই