নতুন বছরে ব্রেন্টের ব্যারেলপ্রতি গড় মূল্য হবে ৮৩ ডলার

নতুন বছরে ব্রেন্টের ব্যারেলপ্রতি গড় মূল্য হবে ৮৩ ডলার

আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের ব্যারেলপ্রতি গড় দাম দাঁড়াতে পারে ৮৩ ডলারে। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আর্থিক পরিষেবা ও ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান। খবর অয়েলপ্রাইস ডট কম।


আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেলের চাহিদা পুনরুদ্ধার, ইউরোপীয় বাজারে স্থিতিশীলতা ও উদীয়মান বাজারগুলোয় তীব্র চাহিদা দেখা দিতে পারে। বিশ্লেষকদের এমন প্রত্যাশা বিবেচনায় রেখে এ পূর্বাভাস দিয়েছে জেপি মরগান।


২০২৪ সালের চেয়ে ২০২৫ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আরো কমতে পারে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্টের গড় দাম নামতে পারে ৭৫ ডলারে। অনেকেই মনে করছেন, পূর্বাভাসটি দেয়া হয়েছে আগামীতে সবুজ জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে রূপান্তর প্রক্রিয়াকে মাথায় রেখে।


গোটা বিশ্বেই ২০২৫ সাল নাগাদ বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) সংখ্যা বাড়বে। পাশাপাশি সৌর বিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়বে। এসব কারণে ২০২৫ সাল নাগাদ জ্বালানি তেলের চাহিদা কমে দাম নিম্নমুখী হবে।


জেপি মরগান প্রত্যাশা করছে, জেট জ্বালানির বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী চাহিদাও আগামী বছর নাগাদ কমে আসবে। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে বিশ্বে দৈনিক জ্বালানি তেলের ব্যবহার তিন লাখ ব্যারেল কমে যেতে পারে। মার্কিন ব্যাংকটির প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি বছরের মোট জ্বালানি তেলের চাহিদা দাঁড়াতে পারে দৈনিক ১৯ লাখ ব্যারেলে। আর আগামী বছর তা নামতে পারে ১৬ লাখ ব্যারেলে।


ব্যাংকটির বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‌চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও আমরা দেখতে পাচ্ছি জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা নিম্নমুখী হবে। যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা পুনরুদ্ধার হবে আর ইউরোপীয় চাহিদা দুর্বল হলেও স্থিতিশীল থাকবে।’ তারা মনে করেন, চাহিদা কাঠামো উল্টে যেতে পারে। চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ আসবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ কার্যক্রম থেকে। বাকিটা আসবে উড়োজাহাজের জ্বালানি চাহিদা থেকে।


অন্যদিকে সরবরাহ পূর্বাভাসে জেপি মরগান বলছে, ‘‌ওপেক জোট ভুক্ত নয়, এমন দেশগুলো অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনের পরিমাণ বাড়াবে। ফলে ওপেক জোটের উত্তোলন কমিয়ে একটি নির্দিষ্ট টার্গেটে দাম ধরে রাখার চেষ্টা হোঁচট খাবে। যদি নন-ওপেক দেশগুলো উত্তোলন ব্যাপক পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়, তাহলে ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারের নিচেও নামতে পারে।


যদিও জেপি মরগানের বাজার বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ওপেক প্লাস জোট প্রত্যাশিত স্তরে দাম ধরে রাখতে উত্তোলন কমানো অব্যাহত রাখতে পারে। এদিকে ২৬ নভেম্বর ওপেক প্লাস জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ওই বৈঠকে উত্তোলন হ্রাসের অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এমন খবরে গত সোমবার আইসিই ও ডব্লিউটিআই উভয় বাজার আদর্শের দাম ২ শতাংশ বেড়ে গেছে।


তবে গতকাল দাম কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। মঙ্গলবার আইসিই ফিউচার্সে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ১ শতাংশ বা ৮০ সেন্ট কমেছে। প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮১ ডলার ৫২ সেন্টে। একই সময়ে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটেও (ডব্লিউটিআই) জ্বালানি তেলের দাম ১ শতাংশ বা ৮০ সেন্ট কমেছে। প্রতি ব্যারেল লেনদেন হয়েছে ৭৭ ডলার শূন্য ৩ সেন্টে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া