ফের নীতি সুদহার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক

ফের নীতি সুদহার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে রোপোর সুদ ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া স্পেশাল রেপোর সুদ ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনর্গঠিত মুদ্রানীতি কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তফসিলি ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ ধার নেওয়ার ক্ষেত্রে যে হারে সুদ দেয়, তাকেই বলা হয় রেপো রেট। এই রেপো রেট একধরনের ‘কৌশল’, যা প্রয়োগের মাধ্যমে বাজারে মুদ্রার সরবরাহের লাগাম টেনে ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে নীতি সুদহারের এই কৌশল প্রয়োগ করা হয়।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সাধারণত মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে নীতি সুদহার বাড়িয়ে থাকে দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সুদহারের ফলে বাজারে অর্থপ্রবাহ কমে আসে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার পথ সুগম হয়। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমাতে পারলে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হওয়ার সম্ভবনা আছে।

এর আগে গত অক্টোবরে রেপো ও স্পেশাল রেপোর সুদ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭.২৫ শতাংশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া গত জুনেও রেপো রেট বাড়ানো হয়।

এদিকে নীতি সুদহার বাড়ানোর কারণে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বাড়বে। এখন থেকে গ্রাহক পর্যায়ে স্মার্টের সাথে যোগ হবে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা আগে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল।

আরও পড়ুন: বাজারে অর্থপ্রবাহ কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

সাধারণত, রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে স্বল্পমেয়াদি ধার নেয়। রেপোর সুদ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে কলমানিসহ আন্তঃব্যাংক সব ধরনের ধারের সুদহার বেড়ে যায়। এতে ব্যাংকের তহবিল গ্রহণের ব্যয় বাড়ে, যার প্রভাবে ঋণের সুদহার বাড়তে পারে। আমানতের সুদহারও বাড়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়।

বাজারের অর্থপ্রবাহ কমাতে ইতোমধ্যে টাকার পরিমাণ কমিয়ে এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাজারে টাকার পরিমাণ কমেছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই মাস শেষে দেশের মুদ্রাবাজারে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩১২ কোটি। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাজারে অর্থপ্রবাহ কমেছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

সূত্র মতে, জুলাইয়ে দেশের প্রচলিত মুদ্রার মধ্যে সরকারি নোট ও কয়েন ছিল ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর মাস শেষে সরকারি নোট ও কয়েন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮২১ কোটি টাকায়।

এদিকে জুলাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক নোট ছিল ২ লাখ ৯০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আলোচ্য এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে টাকার জোগান কমিয়েছে।

অর্থসংবাদ/আজাদ

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
বিকাশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ মারা গেছেন
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদের ৩ কমিটি গঠন
ব্যাংকে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা শিথিল
মাসিক সঞ্চয় হিসাব খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে
ফের এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন
অফিসার পদে ৭৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে সরকারি ৫ ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালক হলেন যারা