স্পর্ট মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম বেড়েছে দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২ ডলার ৯২ সেন্টে। গত ১৬ মের পর এটিই ধাতুটির সর্বোচ্চ দাম। সে সময় আউন্সপ্রতি স্বর্ণের দর উঠেছিল ২ হাজার ১৭ ডলার ৮২ সেন্টে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে গতকাল স্বর্ণের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আউন্সপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩ ডলার ৮০ সেন্টে।
অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে গতকাল ডলারের বিনিময়মূল্য কমেছে দশমিক ১ শতাংশ। গত সপ্তাহে মার্কিন মুদ্রাটির দাম দুই মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। আর ডলারের বিনিময়মূল্য কমে এলে ভিন্ন মুদ্রার গ্রাহকের জন্য স্বর্ণ ক্রয় খরচ কমে আসে। এতে ধাতুটির চাহিদা বেড়ে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
এ প্রসঙ্গে ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ওএএনডিএর সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক ক্রেইগ এরলাম বলেছেন, ‘অবশেষে স্বর্ণের বাজার ২ হাজার ডলারের ওপরে উঠে গেল। ধাতুটির দাম এখন যেন আকাশছোঁয়া।’ এ বৃদ্ধিকে তিনি কৌশলগত ও গত সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ও চাকরির রিপোর্টের প্রভাব বলে অভিহিত করেছেন।
স্বর্ণ এখন গত ৫০, ১০০ ও ২০০ দিনের গড় দামের ওপরে লেনদেন হচ্ছে। ধাতুটির বাজার এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ ২০২০ সালের আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৭২ ডলার ৪৯ সেন্ট মূল্যস্তর থেকে মাত্র ৬০ ডলার দূরে রয়েছে। অন্যদিকে বুধবার তৃতীয় প্রান্তিকের সংশোধিত জিডিপি পরিসংখ্যান এবং বৃহস্পতিবার পিসিই মূল্যসূচক প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন সেদিকে।
মূল্যস্ফীতি পরিমাপক হিসেবে এ দুটি তথ্যকে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। আর মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সুদহার অপরিবর্তিত থাকবে নাকি পরিবর্তন হবে। তবে সর্বশেষ প্রকাশিত ডাটা মার্কিন মূল্যস্ফীতি কমার ইঙ্গিত দিয়েছে, যা মুদ্রানীতিতে সুদহার কমানোর সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা করছেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বরেও সুদহার অপরিবর্তিত রাখবে। আর আগামী বছরের মে মাস নাগাদ সুদহার কমার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ বলে মনে করছে সিএমই গ্রুপের ফেডওয়াচ টুল।
সুদহার কম থাকলে স্বর্ণ ক্রয়ের সুযোগ ব্যয় কমে যায়। এতে মানুষ স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধাতুটির চাহিদা বাড়ায় দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে গতকাল স্পট মার্কেটে বেড়েছে অন্যান্য ধাতুর দামও। রুপার দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ২৪ ডলার ৭২ সেন্টে উঠেছে। প্লাটিনামের দামও বেড়েছে দশমিক ১ শতাংশ। প্রতি আউন্স বিক্রি হয়েছে ৯৩১ ডলার ৫৩ সেন্টে। আর প্যালাডিয়ামের দাম দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৭৪ ডলার ৪১ সেন্টে বিক্রি হয়েছে।