গত বছরের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে যখন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয় বলে ধারণা করা হয়। এই সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথমে লকডাউন পদক্ষেপ নেয় চীন। মার্চের আগপর্যন্ত এ যেন কেবল চীনেরই মাথাব্যথা ছিল। তবে বিশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সমস্যা তো কেবল তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। মার্চ থেকে লকডাউন সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। দেশে দেশে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, বন্ধ রাখা হয় সীমানা। অর্থনৈতিক কার্যক্রম একরকম স্থবির হয়ে পড়ে। মে মাসের শেষ থেকে একটু একটু সচল হতে থাকে অর্থনীতি। তবে সেই অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পেরে মন্দায় পড়ে অনেক দেশই, যা এই বছরের শেষ পর্যন্ত থেকে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পরাশক্তি হিসেবে পরিচিত দেশগুলোর মধ্যে চীনই একমাত্র দেশ যারা এই প্রভাব কাটিয়ে উঠছে। আশা করছে চলতি বছর শেষে তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ। যেখানে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে বিশ্ব অর্থনীতি ৫ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হবে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যউপাত্ত নিয়ে ব্যবহার করে সিএনএন বিজনেস চীনের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে। এতে তারা বলছে, এ বছরের শেষে বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে চীনের অংশের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে, যা ২০১৯ সালের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ অংশ কমবে।
আসলে কঠোর লকডাউন এবং জনসংখ্যা ট্র্যাকিং নীতিসহ ভাইরাস দমনে নেওয়া নানা ব্যবস্থার মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে চীন। সেই সঙ্গে অর্থনীতিকে ঠিক রাখতে চীন সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন বড় অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর জন্য কয়েক শ বিলিয়ন ডলার আলাদা করে রেখেছিল তারা। এ ছাড়া জনগণের মধ্যে ব্যয়কে উদ্বুদ্ধ করতে নগদ প্রণোদনাও দেওয়া হয়। এসব পদক্ষেপের স্পষ্ট অগ্রগতি এখন দৃশ্যমান। সাপ্তাহিক ছুটিগুলোতে মানুষের ব্যয় করার প্রবণতা আবার ফিরে আসছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যউপাত্ত নিয়ে ব্যবহার করে সিএনএন বিজনেস চীনের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে। এতে তারা বলছে, এ বছরের শেষে বিশ্বব্যাপী জিডিপিতে চীনের অংশের পরিমাণ প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে, যা ২০১৯ সালের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বিপরীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ অংশ কমবে। অবশ্য করোনার আগে আশা করা হচ্ছিল ২০২০ সালের মধ্যে চীনের অর্থনীতির আকার দাঁড়াবে ১৪ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে, যা বিশ্ব জিডিপির ১৭ দশমিক ৫ শতাংশের সমান। সে পর্যায়ে এবার যাচ্ছে না দেশটি।