২০১৯ সালে ইতালি ছিল একমাত্র পশ্চিমা দেশ, যারা এ প্রকল্পে যোগ দিয়েছিল। তখন পদক্ষেপটির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের কাছে বেশ সমালোচিত হয়েছিল ইতালি। ২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কর্তৃক চালু করা বিআরআই প্রকল্প এশিয়া ও ইউরোপজুড়ে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের লক্ষ্য নিয়েছে। চীনকে অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য রেলপথ ও নৌবন্দর তৈরির মতো কাজ করবে এ প্রকল্পগুলো।
তবে চীনের বিআরআই প্রকল্পকে একটি কূটনৈতিক ঋণের ফাঁদ আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অর্থ বিআরআই প্রকল্পগুলো খুব বড় ও ব্যয়বহুল। দেশগুলোর পক্ষে এ প্রকল্পের জন্য অর্থ দেয়া সম্ভব নয়। সুতরাং তারা শেষ পর্যন্ত চীনের কাছে অর্থ ধার করবে বা চীনের কাছে ঋণগ্রস্ত হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৮ সদস্যের মধ্যে ইতালি বিআরআইতে যোগদানকারী ইউরোপীয় বৃহত্তম দেশ। চীনের এ প্রকল্পে যোগদান করা বেশির ভাগ দেশ পূর্ব ও দক্ষিণ ইউরোপের ছিল।
আগামী বছরের মার্চে ইতালির স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিআরআই সদস্যপদ নবায়নের কথা ছিল। ইতালি তার আগেই নিজেদের সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি এর আগে বিআরআইতে ইতালির যোগদানকে গুরুতর ভুল বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি আগে থেকে চেয়েছিলেন ইতালি এ প্রকল্পের অংশ হওয়া থেকে সরে আসুক। এ প্রকল্পের আওতায় চীন ইতালিতে ২ হাজার কোটি ইউরো বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর মধ্যে সামান্য একটি অংশ এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ করা হয়েছে।
গত বছর ইতালি চীনে ১ হাজার ৬৪০ কোটি ইউরোর রফতানি পণ্য বিক্রি করে, যা ২০১৯ সালে ছিল ১ হাজার ৩০০ কোটি ইউরো। এদিকে চীন গত বছর ইতালির কাছে ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ইউরো বিক্রি করেছে এবং ২০১৯ সালে ৩ হাজার ১৭০ কোটি ইউরো পণ্য বিক্রি হয়েছিল।
অর্থসংবাদ/এমআই