জার্মানির মূল্যস্ফীতি কমেছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত নভেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। ইসিবির আপাতত লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নিয়ে আসা।
জার্মানিতে মূল্যস্ফীতির প্রবণতা ২০২১ সালের জুনের পর সবচেয়ে মন্থর রয়েছে। জ্বালানির দাম কমে যাওয়ায় এমন প্রভাব পড়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। গত বছরের নভেম্বরের পর থেকে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যদিকে প্রতি মাসে মূল্যহ্রাসের হার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। এর আগে এক বিশ্লেষণে ২ দশমিক ৬ শতাংশ বার্ষিক মূল্যস্ফীতির প্রবণতার অনুমান জানিয়েছিল রয়টার্স।
জার্মান কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের (পিএমআই) পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের নভেম্বরের তুলনায় আগের বছরের নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেশি ছিল। অন্যদিকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কম ছিল। টানা পাঁচ মাসে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের প্রেসিডেন্ট রুথ ব্রান্ড।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে জ্বালানি পণ্যের মূল্য গত বছরের তুলনায় কমেছে। এছাড়া জার্মানিতে কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত খাদ্যমূল্য কমছে। যদিও মূল্যস্ফীতির সামগ্রিক চিত্রটা একটু বেশি।
জার্মানির এ মন্থর মূল্যস্ফীতি ইসিবির সুদহার কমানোর আশা জাগিয়েছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। যার সুফল পুরো ইউরোপের বাজারে প্রভাব ফেলবে। সুদহার কমার অর্থই হচ্ছে শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি। এতে লোকজনের মধ্যে শেয়ার ক্রয়ের ঝোঁক বাড়বে। বর্তমানে পুরো ইউরোপের বাজারেই শেয়ারদর কমতির দিকে।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি রোধে ইসিবি ২০২২ সালের জুলাইয়ে সুদহার বাড়িয়েছিল। সুদহার শূন্য থেকে এখন ২০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। ইউরোপ দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন। উচ্চ সুদহার ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চলমান প্রভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম মন্থর হয়েছে। এ মন্দা ইসিবির নীতিনির্ধারকদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। গত মাসে তারা অর্থনীতি গতিশীল করতে নতুন করে সুদহার বাড়ায়নি।
অর্থসংবাদ/এমআই