মুদ্রানীতি প্রণয়ণে আগ্রহী পরামর্শদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত ও পরামর্শ পাঠাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ুমের ই-মেইল ঠিকানায় মতামত পাঠাতে হবে। ঠিকানাগুলো হলো- abdul.kayum@bb.org.bd বা gm.mpd@bb.org.bd । ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির মধ্যে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগেও মুদ্রানীতি বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মতামত বা পরামর্শ চেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম প্রধান কাজ মুদ্রা সরবরাহ। তবে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেশি হয়ে গেলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল অস্ত্র হচ্ছে মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহার। সাধারণত সুদের হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়া হয়। এ কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ। প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে এটি, যদিও দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে খুব একটা দেখা যায়নি।
গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটি পুনর্গঠন করেছে। আগে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই কমিটিতে ছিলেন, এবারের কমিটিতে বাইরে থেকে আরও তিনজনকে রাখা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গভর্নরসহ মুদ্রানীতি বিভাগের ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ ও নির্বাহী পরিচালক থাকছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে থেকে কমিটির সদস্য হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক।
তাঁদের পাশাপাশি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ অথবা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনকে কমিটিতে রাখার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। এ দুজনের মধ্যে যাঁকে পাওয়া যাবে, তাঁকে মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানা গেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই