আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৬১ রানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ২৩২ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল যুবা টাইগাররা। টানা দুই জয়ে শেষ চারে আগেই এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজ লঙ্কানদের উড়িয়ে ‘বি’ গ্রুপে অপরাজিত থাকল রাব্বি-শিবলীরা।
সেই সঙ্গে নিশ্চিত হলো দুবাইয়ে চলমান বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টটির সেমিফাইনালের রোডম্যাপও। গ্রুপ ‘এ’ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত। অন্যদিকে, ‘বি’ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এই গ্রুপটি থেকে আরেক সেমিফাইনালিস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত।
টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, সেমিফাইনালের দ্বৈরথে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন মুখোমুখি হবে অন্য গ্রুপ রানার্স-আপের। সে হিসেবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ‘এ’ গ্রুপ রানার্স-আপ ভারতের। এর আগে ২০২১ সালেও দুই দল সেমিতে মুখোমুখি হয়েছিল। এ ছাড়া একই দিনে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান লড়বে ‘বি’ গ্রুপ রানার্স-আপ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে।
আজ (বুধবার) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ মন্দ হয়নি লঙ্কান যুবা ব্যাটারদের। দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ব্রেকথ্রু এনে দেন মারুফ মৃধা। ইনিংসের নবম ওভারে ওপেনার পুলিন্দো পেরেরাকে ২৯ বলে ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় সাজঘরে পাঠান টাইগার বোলার।
এরপর লঙ্কানদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় দলীয় ৭৪ রানে। রাবিসান ডি সিলভার প্রতিরোধ ভাঙেন টাইগার দলপতি রাব্বি। দলীয় শতরানের আগে তিন উইকেট হারালেও তখনো সেভাবে ভেঙে পড়েনি লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডার। তবে এরপর ওয়াসি সিদ্দিকীর দারুণ বোলিংয়ে পথ হারিয়ে ফেলে তারা। কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে একসময় বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়েও শেষমেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রানে থামে তাদের ইনিংস। টাইগারদের হয়ে ওয়াসি সিদ্দিকী সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন মারুফ মৃধা ও মাহফুজ রাব্বি।
নাগালে থাকা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগার যুবারা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জিসান আলম। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চৌধুরী রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে ৭৪ রানের দারুণ জুটি গড়েন শিবলী। ৩৯ বলে ৩২ রান করে ক্যাচ আউট হন রিজওয়ান। এরপর ব্যাট করতে নেমে ইনিংস বড় করতে পারেননি আরিফুল (১৮) ও আহরার (২৩)।
একপ্রান্তের ব্যাটাররা ইনিংস বড় করতে না পারলেও অন্য প্রান্তে তখনো অবিচল ছিলেন আশিকুর রহমান শিবলী। ১১৯ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তরুণ এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩০ বলে ১১৬ রানে। দারুণ ইনিংসটি খেলার পথে ২ টি ছক্কা ও ১১ চার হাঁকিয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদ/এমআই