অনেকেরই জানা নেই বিশেষ কিছু খাবারও রয়েছে যা শীত তাড়াতে ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব খাবারের নাম ও কিছু গুণ।
মুলা
অনেকেরই অপছন্দের সবজি এটা। শীতকালীন এই সবজির উপকারিতা অনেক। ফাইবারসমৃদ্ধ মুলা শীতের দিনে শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।
বাদাম এবং খেজুর
শীত শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা হলেও কমে যায়। এই সময় সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলি বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন তার মধ্যে অন্যতম বাদাম এবং খেজুর। প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে এগুলি। এ ছাড়াও শরীর চনমনে রাখতেও বাদাম এবং খেজুর বেশ উপকারী।
আদা
রান্নার আরও একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ হল আদা। নিরামিষ কিংবা আমিষ- দু’রকম রান্নাতেই আদা ব্যবহার করা হয়। আদায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের জন্য ভালো। শীতের সকালে এক কাপ আদা চা সারা দিন আপনাকে চনমনে রাখবে।
কফি
কফির ক্যাফেইন উপাদান আপনার মেটাবলিজমকে সাময়িকভাবে বৃদ্ধি করে যা আপনাকে উষ্ণ অনুভূতি প্রদান করে। শীতের সকালে এক কাপ কফি আপনাকে সারাদিনের কাজে শক্তি প্রদান করবে।
হলুদ
প্রতিদিনকার খাবারে হলুদ ব্যবহার করুন, এটি আপনার শরীরকে ভিতর থেকে উষ্ণ করে থাকে। দুধের সাথে হলুদ বা হলুদ চা পান করতে পারেন শীতের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ ঘাম ঝরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি শীতের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে শরীরকে গরম রাখে। পেঁয়াজ চাইনিজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি শরীর গরম করে কাজ করার শক্তি যোগায়।
মাংস
খাসি ও গরুর মাংস শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে তা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
মিষ্টি আলু
শীতকালের এই সবজিটিরও রয়েছে শীত দূর করার ক্ষমতা। ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুকে বলা হয় সুপারফুড, যার রয়েছে দেহকে নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখার পাশাপাশি শীত তাড়ানোর বিশেষ ক্ষমতা।
মধু
সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এ ছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী।
সবুজ শাকসবজি
শীতকাল মানেই সবজি বাজারে রঙের পরশ! আর সেই রং যাতে আপনার খাবারের প্লেটেও লাগে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর সেই কারণেই প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে গাজর, পালং শাক, বিনস, টমেটোসহ আরও নানা সব সবজিকে।
এমআই