ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলনে এক বৈঠকের পরপরই হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া পোস্টে এ কথা জানান।
সম্মেলনে জর্জিয়াকে ইইউ প্রার্থীর মর্যাদা দেয়া হয়। ইউক্রেন ও মালদোভার সদস্যপদ বিষয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার পরপরই কিয়েভে সহায়তা প্রস্তাবে ভেটো দেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী।
এর ফলে আপাতত ইইউর সহায়তা পাচ্ছে না ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিষয়টি আগামী বছরের শুরুতে আবার আলোচনায় আসতে পারে বলে জানিয়েছেন ইইউ নেতারা।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকেই ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার উপর নির্ভর করে এগিয়েছে দেশটি। এর আগে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা তহবিল আটকে দিয়েছিল মার্কিন সিনেট। এরপর ইইউর সহায়তা আটকে গেল।
রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলা হাঙ্গেরি দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের সদস্যপদের বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু সেই পদক্ষেপে ভেটো দেয়নি।
সদস্যপদ বিষয়ে আলোচনার সিদ্ধান্তকে ‘জয়’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
অন্যদিকে সহায়তার বিরোধিতা বিষয়ে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেন, আমাদের কাছে এখনো কিছু সময় আছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের অর্থের সংকট হবে না। আমরা ২৬টি দেশ একমত হয়েছি। আমি মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী বছরের শুরুর দিকে একটি চুক্তি হতে পারে।
ইউক্রেন মরিয়া হয়ে ছয় হাজার ১০০ কোটি ডলার মার্কিন প্রতিরক্ষা সহায়তা প্যাকেজের অনুমোদন চাইছে। এটি ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের মধ্যে বড় ধরনের মতবিরোধের কারণে আটকে আছে। যা শিগগিরই আবার আলোচনায় উঠতে পারে।
এমআই