বর্তমান বিশ্বে আপনার ইগো নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হতে পারে। তবে আত্ম-সচেতনতা এবং নম্রতা থাকলে তা অসম্ভব নয়। শিখতে পারেন কিভাবে ইগোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি সহজ অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে ইতিবাচক মানসিকতা তৈরি করতে পারেন। ইগো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তা আপনার জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ইগো নিয়ন্ত্রণ করার ৫ উপায়-
১. তুলনা এড়িয়ে যান
অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করা বন্ধ করুন। কারণ তুলনা করার এই অভ্যাস আপনার কৃত্রিম অভাব তৈরি করতে পারে। এটি আপনার আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ করতে পারে। এর পরিবর্তে প্রত্যেকের যে নিজস্বতা আছে তা স্বীকার করুন, নিজের কাজের দিকে মনোযোগ দিন। অন্যদের সঙ্গে তুলনা না করে আপনার বড় বা ছোট অর্জনগুলো উদযাপন করুন।
২. কৃতজ্ঞ থাকুন
কৃতজ্ঞতার চর্চা করে আপনার মানসিকতাকে নেতিবাচকতা থেকে ইতিবাচকতায় পরিবর্তন করুন। আপনি যে জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞ সেগুলো প্রতিদিন লিখে রাখুন। এই সাধারণ কাজটি আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করবে, তৃপ্তির অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করবে এবং ইগো দূর করবে। কৃতজ্ঞ হৃদয় মানেই নম্র হৃদয়।
৩. ভুল থেকে শিখুন
ভুল জীবনের একটি অনিবার্য অংশ। ভুল গ্রহণ করা ইগো নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল নিয়ে চিন্তা না করে, সেটি শেখার মাধ্যম হিসেবে নিন। অসম্পূর্ণতাগুলো গ্রহণ করুন এবং আপনার অভিজ্ঞতা থেকে শিখুন। নিজেকে আরও সমৃদ্ধ একজন মানুষ হিসেবে দেখতে চাইলে ভুলগুলো সামলে সঠিক পথ খুঁজে নিন। এই অভ্যাস আপনাকে সফলতার পথ দেখাবে, কমাবে আপনার ইগোও।
৪. সদয় এবং সহানুভূতিশীল হোন
সদয় আচরণের বিকল্প নেই। স্বভাবে নম্রতা ধরে রাখুন। মন থেকে অন্যদের প্রশংসা করুন। এতে কেবল ইতিবাচকতাই ছড়াবে না, মানুষের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা অর্জন করতে পারবেন। নম্রতা হলো বিশ্বের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করার একটি উপায়। তাই সদয় এবং সহানুভূতিশীল হোন। এটি আপনার ইগো নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।
৫. প্রচেষ্টা ধরে রাখুন
আপনি চাইলেও একদিনে সব ইগো ঝেড়ে ফেলতে পারবেন না। তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। কতটুকু পারলেন সেদিকে নজর না দিয়ে আপনি যে প্রচেষ্টা করছেন তা ধরে রাখুন। নিজের কাজগুলো নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আপনার থাকলেও সব সময় ফলাফল আপনার মনের মতো নাও হতে পারে। তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।