নভেম্বরে খুচরা সূচকের সার্বিক (হেডলাইন) মূল্যস্ফীতি তিন মাসের সর্বোচ্চে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশে উন্নীত হয়। এর পরই পাইকারি মূল্য সূচক (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স) পরিবর্তনের এ তথ্য প্রকাশ্যে এল।
তবে জুলাইয়ে ১৫ মাসের সর্বোচ্চে থাকা ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ খুচরা মূল্যস্ফীতির তুলনায় এটি ১৮৯ বেসিস পয়েন্ট কম। একই সময়ে পাইকারি মূল্যস্ফীতি ১৪৯ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে।
ভোক্তামূল্যের মতো নভেম্বরে পাইকারি মূল্য সূচকও মাসওয়ারি হিসাবে দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। মূলত খাদ্যমূল্য সূচক ১ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়ায় এ প্রভাব পড়েছে। খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে মাসওয়ারি হিসাবে কাঁচা সবজির মূল্য সূচক ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের সূচকও বেড়েছে ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ। অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে ফলের ১ দশমিক ৭, গমের ১ দশমিক ৬ ও ডালের সূচক ১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নভেম্বরে খাদ্যদ্রব্যের পাইকারি মূল্য সূচক ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যেখানে অক্টোবরে এর হার ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
একই সময়ে তৈরি পণ্যের দামেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মাসওয়ারি হিসাবে এর হার দশমিক ১ শতাংশ। পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের দাম নিম্নমুখী থাকায় তৈরি পণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পাইকারি মূল্য সূচকের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই তৈরি পণ্যের দামের ওপর নির্ভরশীল। এসব পণ্যের মূল্য সূচক তিন মাস ধরে স্থিতিশীল।
নভেম্বরে পাইকারি মূল্যস্ফীতি শূন্য থেকে ওপরে উঠলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাস তা - (মাইনাস) ১ দশমিক ৩৩ শতাংশে ছিল। সামনের মাসগুলোয় এ সূচকে উন্নতির আশা করা হলেও অর্থনীতিবিদদের মতে সামগ্রিকভাবে তা ১ শতাংশের আশপাশে থাকবে।
অর্থসংবাদ/এমআই