আর্গাসের পূর্বাভাস অনুসারে, দুই মাসের ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে আবাদি এলাকা ৫ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর বা ১১ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবাদি জমির পরিমাণ নামতে পারে ৪২ লাখ ৪০ হাজার হেক্টরে। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ পিছিয়ে যেতে পারে।
দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারি বর্ষণের ফলে ফ্রান্সে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়েছে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম এ শস্য উৎপাদনকারী দেশের শীতকালীন ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কম প্রোটিনসমৃদ্ধ গামের আবাদ গত বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ কমে দাঁড়াতে পারে ৪৪ লাখ ৯০ হাজার হেক্টরে।
আর্গাস বলছে, ফ্রান্সের গম উৎপাদনকারী সব অঞ্চলে কম প্রোটিনসমৃদ্ধ গমের আবাদ গত বছরের তুলনায় কমে যেতে পারে। গত দুই মাসে ৪৪৫ মিলিমিটার ক্রমবর্ধমান বৃষ্টিপাতের পর দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের নুভেল অ্যাকুইটাইন অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অঞ্চলটির আবাদি জমির পরিমাণ ২৯ শতাংশ কমে যেতে পারে।
এদিকে পরামর্শদাতারা জানিয়েছেন, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কম প্রোটিনসমৃদ্ধ গমের আবাদ সবচেয়ে ভালো হয়েছে। অঞ্চলটিতে অক্টোবরে বীজ রোপণ করা হয়েছিল এবং বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই ভালো ফলন এসেছে।
অন্যদিকে আর্গাসের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে সরিষা আবাদি জমির পরিমাণও ১০ হাজার হেক্টর কমে যেতে পারে। গত মৌসুমের ১৩ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমির বিপরীতে চলতি মৌসুমে তেলবীজটির আবাদি জমি নামতে পারে ১৩ লাখ ৪০ হাজার হেক্টরে।
এমআই