কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ আজ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সব এমএফএস সেবাদাতাদের এ নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেকোনো পরিষেবা প্রদানের পূর্বে পরিষেবার ধরন, পরিষেবার জন্য প্রযোজ্য সেবা মাশুলের পরিমাণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সেবা মাশুলের তালিকা গ্রাহকদের যথাযথভাবে অবহিত করার উদ্দেশ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং অ্যাপসে প্রদর্শন করতে হবে। এ ছাড়া গ্রাহকদের অবহিতের জন্য কিছু প্রশ্ন উত্তর প্রস্তুত করে ওয়েবসাইটে রাখতে হবে। পরিষেবার ধরন বা সেবা মাশুলের হার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আগেই নোটিফিকেশন প্রেরণের মাধ্যমে অবহিত করতে হবে। সেবা মাশুল হার–সংক্রান্ত বিভ্রান্তি পরিহারের জন্য বিভিন্ন গণযোগাযোগ (সংবাদপত্র, পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিশন, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি) এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডিন ইত্যাদি) প্রচারসহ সব ক্ষেত্রে ভ্যাটসহ সেবা মাশুলের হার উল্লেখ করতে হবে।
বাংলাদেশের বর্তমানে বিকাশ, রকেট, নগদ, শিওর ক্যাশ, এম ক্যাশ, ইউক্যাশসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদান করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু প্রতিষ্ঠান এমন প্রচারণা চালাচ্ছে যে নগদ উত্তোলন হার ১ শতাংশে নেমে এসেছে। বাস্তবে এর চেয়ে অনেকে বেশি টাকা কাটা হচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আগের মতোই। মূলত ভ্যাট ছাড়া ও নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার বেশি লেনদেনে তারা ছাড় দিচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের পক্ষে এত হিসাব জানা সম্ভব হচ্ছে না। টাকা কেটে নিচ্ছে। এ জন্য সবাইকে প্রকৃত তথ্য গ্রাহকদের জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে এমএফএসগুলোর পারস্পরিক লেনদেন নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী সপ্তাহেই নতুন এই সেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।